ইন্টারনেটের এই যুগে দ্রুতগতির নেট পরিষেবা সকলেই চান। সারা বিশ্বেই এই নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এতদিন পর্যন্ত সবথেকে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পেরেছিল আমেরিকা। যুগান্তকারী উন্নয়নের পথে চীনা কোম্পানিগুলো। তাদের দাবি ‘বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট’ নেটওয়ার্ক উন্মোচন করেছে চীন, যা মাত্র এক সেকেন্ডে ১৫০টি হাই-ডেফিনিশন ফিল্মের সমতুল্য ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম।
বুধবার ১৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে চীনের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, তাদের তৈরি ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বিশ্বের দ্রুততম। যা প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইটস বা ১,২০০ গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চীনা মোবাইল, হুয়েই টেকনোলজিস ও সার্নেট কর্পোরেশনের সমন্বয়ে প্রকল্পটির কাজ করা হয়। তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চলজুড়ে যে নেটওয়ার্ক বেজিং, ইউহান ও গুয়াংঝাউকে জুড়ে রেখেছে।
এর গতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হুয়েই টেকনোলজিসের সহ-সভাপতি ওয়াং লেই বলেন, এটি প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইটস বা ১,২০০ গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করে। এর অর্থ এক সেকেন্ডে ১৫০টি হাই ডেফিনিশন সিনেমার সমান ডেটা স্থানান্তর করা।
সাধারণত বিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের ক্ষমতা ১০০ জিবি প্রতি সেকেন্ড। এর মধ্যে আমেরিকা ৪০০ জিবিপিএস ক্ষমতা পৌঁছলেও তা চীনের এই সাফল্যের চেয়ে অনেকটাই কম। তবে এতেই শেষ নয়। এর চেয়েও দ্রুতগতির ইন্টারনেট এখন লক্ষ্য চীনের।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক কর্মকর্তার দাবি সেরকমই। তিনি বলেন, ‘এটা কেবলই এক সাফল্য। বরং এর ফলে চীনের কাছে সুযোগ রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এর চেয়েও দ্রুততর ইন্টারনেট পাওয়ার।’