আপনি যদি একজন গ্রামীণফোন গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য অপেক্ষা করছে। আপনি হয়ত ইতোমধ্যেই এসএমএস পেয়েছেন এ সম্পর্কে। তবে অনেকেই আবার মেসেজ না ও পেতে পারেন। কেউ কেউ মাইজিপি অ্যাপে হয়ত একটি নতুন নোটিফিকেশন লক্ষ্য করে থাকবেন।
গত বুধবার থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ ৩০ টাকা নির্ধারণ করার কথা ছিল কিন্তু ক্ষোভের মুখে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা রিচার্জের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে গ্রামীণফোন টেলিকম সেবাদান প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তার পর আবার নতুন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি । জিপি সিমে রিচার্জের সর্বনিম্ন পরিমাণ৩০ টাকা রিচার্জের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ করা হচ্ছে ১০দিন । অর্থাৎ নতুন ২০ টাকা রিচার্জের করলে আপনি পাবেন মাত্র ১০ দিন মেয়াদ ‘যা পূর্বে ছিল ৩০ দিন।
এই নতুন রিচার্জের বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা ফেসবুকে সমালোচনার ঝর তুলেছে এবং সেই সাথে কয়েকটি ইভান্ট ক্রিয়েট করে গ্রামীণফোন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ফেসবুকে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, জিপি কোম্পানি জনগণের সাথে ফাজলামো শুরু করেছে। তারা প্রথম এ ৩০ টাকা রিসার্জ সিস্টেম আনলো এরপরে সবাই যখন বয়কট এবং সিম ব্যবহার না করার চিন্তা করা শুরু করলো। তখনই তারা ৩০ টাকার কান্ড থেকে পিছনে সরে এলো এরপরে তারা নতুন নাটক শুরু করলো এখন তারা ২০ টাকা লোড করলে মেয়াদ ১০ দিন দিলো। তাহলে মাসে ২০ টাকা করে ৬০ টাকা ৩ বার ভরতে হবে তানা হইলে টাকার মেয়াদ থাকবে না। আমাদের সকলের উচিৎ এদের একটা চরম লেভেলের শিক্ষা দেওয়া। তারা যদি পরবর্তীতে নেওয়া এই “মেয়াদের সিদ্ধান্ত” থেকে দ্রুত না সরে আসে সবাই আমরা MNP করে অপারেটর পরিবর্তন করে নিবো। MNP মানে বুঝে নাই অনেক এ – এটার মানে হচ্ছে আপনি ধরেন যে সিম ব্যবহার করছেন 017799999### এই নম্বর হুবহু থাকবে। জাস্ট অপারেটর মানে কোম্পানি পরিবর্তন হবে। এরা জনগণকে জিম্মি করে যা মন চায় সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেছে। সবাই পোস্টটি শেয়ার , কপি করে ছড়িয়ে দিন।
আহমেদ জুবায়ের নামের একজন গ্রামীণফোন গ্রাহক জানান, ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে এক লক্ষ মানুষ যদি সরে আসে এই দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাহলে চরমভাবে এদেরকে শিক্ষা দেয়ার একটি উপক্রম তৈরি হবে। #Boycotgp
গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোন গ্রাহক ও বিটিআরসি থেকে বাঁচতে নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ৩০ টাকার সর্বনিম্ন রিচার্জ এর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গ্রাহকদের রিচার্জ এর ব্যবহারের উপর সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এ ধরনের হঠকারী মূলক সিদ্ধান্ত গ্রামীণফোন বা কোন অপারেটর করতে পারে না। তাদের টকটাইমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ বিটিআরসি নির্ধারণ করে দিলেও রিচার্জ করার ক্ষেত্রে কোন মেয়াদ কমিশন নির্ধারণ করে দেয় নাই। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকের নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করবে। সেই সাথে বাড়বে খরচ, বিটিআরসির উচিত গ্রামীণফোনকে এক একবার এক এক ধরনের হোটো কারী সিদ্ধান্ত নেবার উদ্দেশ্য কি কিংবা তারা কেন এ ধরনের কাজ করছে তার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক গণশূনানী অনুষ্ঠিত করা। ওর আসলে কি চায় সর্বোচ্চ মুনাফায় থাকা একটি প্রতিষ্ঠান কেন এই ধরনের হট কারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। বিটিআরসিকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন এ পাশাপাশি জিপিকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিব।
ফ্লেক্সিলোডের শুরুর আমল থেকেই গ্রামীণফোনে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। ১০ টাকা রিচার্জ করলে ১ মাস মেয়াদ পাওয়া যেত। এরপর ২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ২০ টাকা করা হয়। আর এখন ২০২৪ সালে এসে ২০ টাকার এই পরিমাণ গ্রাহকের ক্ষোভের মুখে আবারও বৃদ্ধি না করতে পারলেও মেয়াদ ১০ দিন করা হলো।