বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার রেভিনিউ শেয়ারিং, এস ও ফান্ডের টাকা, বিলম্ব ফি, লাইসেন্স ফি সহ কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আই এস পি অপারেটর, আইসি এক্স, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক, বিটিসিএল সহ বেসরকারি খাতের মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এই সকল বকেয়া আদায়ে বিটিআরসিকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবার আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি যে, বিটিআরসি বিশেষ করে আইআইজি এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে নমনীয় আচরণ করতে যাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত কে আমরা স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ তাদের(বিটিআরসি )যদিও ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি দেশের ৩৪ টি লাইসেন্সধারী আইআইজির কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা আদায় করতে বিশেষ করে ১৯ টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৮০ কোটি টাকা পাওনা উদ্ধার করতে প্রায় ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ে। যে ভোগান্তির ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তাদের বকেয়ার কারণে দেশের জনগণের ভোগান্তি এবং বিভিন্ন জরুরি গুরুত্বপূর্ণ সেবায় বিঘ্ন ঘটার ফলে তাদের যেখানে শাস্তির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, সেখানে আমরা লক্ষ্য করছি নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি উল্টো পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয় হচ্ছে। এই নমনীয়তার ফলে এই সকল অপারেটর আর কোন পাওনা বা দেনা পরিশোধ করবে কিনা তাতেও সন্দেহ রয়েছে।
কারণ ২০২৭ সাল থেকে এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে আইআইজি ও আইজিডাব্লিউ লাইসেন্স নতুন করে নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ফলে তাদের যখন লাইসেন্স থাকবে না তখন তারা মামলা মোকদ্দমার আশ্রয় নিয়ে অর্থ পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকবে।
তাই কমিশনকে বকেয়া আদায় কঠোর হবার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রাহকদের ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।