মোবাইল ইন্টারনেট খাতে ১০১তম স্থান থেকে ১০৮তম অবস্থানে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সূচকেও বাংলাদেশের অবস্থান ডিসেম্বরের ১০৮তম থেকে জানুয়ারিতে এক ধাপ নেমে ১০৯তম হয়।
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট টেস্টিং ও বিশ্লেষণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সে গত জানুয়ারির পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের এই অবস্থান উঠে আসে। এর আগের মাসগুলোতে বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে উন্নতি করালে বর্তমানে আবার পিছিয়ে পড়েছে বলে দেখা যায়।
এদিকে, মোবাইল ইন্টারনেট সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারত ১৮তম ও ব্রডব্যান্ড বিভাগে ৮৭তম অবস্থানে আছে। ওকলা প্রতিদিন নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স, গুণগত মান ও সহজলভ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।
ওকলার সূচক অনুসারে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশে মোবাইল ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৮৫ এমবিপিএস ও আপলোড গতি ছিল ১১ দশমিক ৩৬ এমবিপিএস। এসময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলিসেকেন্ড। ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪১ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস, আপলোড গতি ছিল ৪২ দশমিক ৬০ এমবিপিএস ও মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল পাঁচ মিলিসেকেন্ড।
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ওকলার স্পিডটেস্ট ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করে। তালিকা অনুসারে, বাংলালিংকের দ্রুত মেডিয়ান ডাউনলোড গতি ছিল ২৬ দশমিক ৭৪ এমবিপিএস ও রবির মেডিয়ান ডাউনলোড গতি ছিল ২৪ দশমিক ৬২ এমবিপিএস।
এরই ধারাবাহিকতায় টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের ‘ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বাংলালিংক। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ৯১ দশমিক ৩৫ এমবিপিএসের গড় ডাউনলোড গতি নিয়ে ডট ইন্টারনেট ছিল দ্রুততম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারী পরিষেবা।