কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে গ্রামীণফোনকে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলড্রপ ইস্যুতে অপারেটরদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিয়মের ব্যত্যয় হলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন বিটিআরসির বরাদ্দকৃত তরঙ্গ কেন ব্যবহার করছে না? ওই তরঙ্গ ব্যবহার করতে গেলে কিছু প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের বিষয় আছে, যেটা তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল। কেন তারা সেটা করলো না? এ কারণে তাদের শোকজ করেছি।
এর আগে, গত ৩০ জুন বিটিআরসি আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে মোবাইল কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়। সেখানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলড্রপ এখন একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষের শেষ নেই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কলড্রপ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে হবে। আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই অ্যাকশনে যাবো।
বুধবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক বাংলাদেশের নিজস্ব জিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমারস) প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ এর উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডাটা বা তথ্য-উপাত্ত। সেই ডাটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে যত সমৃদ্ধ ডাটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্ট-আপ এই তিনটি জিপিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জি-ব্রেইন’ প্লাটফর্মটি। এছাড়া ভবিষ্যতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ ও এডিপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জিপিটিও যুক্ত হবে এই প্ল্যাটফর্মে।
এদিকে, ডাক বিভাগের কর্মীদের ৫৫ কোটি টাকার প্রতারণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ বিবেচনায় চাকরীচ্যুত করা হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও মামলা করা হবে।