ওকলার স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের জুন মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কিছুটা উন্নতি করেছে। মোবাইল ইন্টারনেটের গতির তালিকায় দেশটি ১৯ ধাপ এগিয়ে এসেছে। ১০৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ৯০তম অবস্থানে রয়েছে। মে মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৯তম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গড় মোবাইল ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি বেড়ে ২৪.৪৯ এমবিপিএস হয়েছে। মে মাসে এ গতি ছিল ২৩.৮২ এমবিপিএস।
বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট রয়েছে কাতারে। গড় গতি ৩৩৪.৬৩ এমবিপিএস নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
প্রতিবেশী দেশ ভারতও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। গড় ডাউনলোড গতি ১০৭.০৩ এমবিপিএস নিয়ে দেশটির অবস্থান ১২তম। যদিও আগের মাসের তুলনায় এ গতি সামান্য কমেছে।
অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে মিয়ানমার ৭৪তম, পাকিস্তান ৯৭তম এবং শ্রীলঙ্কা ৯৮তম অবস্থানে রয়েছে। জুন মাসের প্রতিবেদনে মালদ্বীপ, নেপাল ও আফগানিস্তানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটক।
এদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে বাংলালিংক শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলালিংকের ৮৯ শতাংশ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫ এমবিপিএস ডাউনলোড গতি ও ১ এমবিপিএস আপলোড গতি পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের সব প্রধান মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেটের গতি উন্নতি লাভ করেছে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলালিংকের গড় ডাউনলোড গতি ছিল ২৬.৭৪ এমবিপিএস। এর পরেই ছিল রবি (২৪.৬২ এমবিপিএস) ও এয়ারটেল (২৩.১৮ এমবিপিএস)।
তালিকার নিচের দিকে রয়েছে গ্রামীণফোন ও টেলিটক। তাদের গড় ডাউনলোড গতি যথাক্রমে ২১.৭৮ এমবিপিএস ও ৬.০৫ এমবিপিএস।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বরে রবি ও এয়ারটেল একীভূত হয়।
মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়াও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড গতিতেও কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। ১৫৯টি দেশের মধ্যে দেশটির অবস্থান এখন ১০০তম। আগে ছিল ১০৮তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের গড় গতি ছিল ৪৭.৪৩ এমবিপিএস। মে মাসে এ গতি ছিল ৪৬.৯৬ এমবিপিএস।
ওকলার স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের গতি তুলনা করে।