বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) অসংখ্য অপকর্মের মূল হোতা ইরেশ সারোয়ার অবৈধভাবে দেশ বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানিতে অবৈধ ভাবে নিয়োগ পাওয়া এই ইরেশ সারোয়ারের রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন। প্রকল্পের সকল ঠিকাদার, সাপ্লায়ার, সাব-কন্ট্রাক্টর হতে প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে নিয়ম করে টাকা আদায় করতেন তিনি। কাজ দেয়া প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে একটিতে তার নিজের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অভিয়োগ রয়েছে চিনা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে টাকা নিয়ে বিদেশ সফর করতেন নিয়মিত। এমন বহু বিতর্কিত কাজে ইরেশ সারোয়ার জড়িত ছিল।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সুবিধা ভোগীদের আরেকজন হচ্ছেন ইরেশ সারোয়ার যিনি ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার প্রকল্প কালীন সময়ে সিস্টেম এনালিস্ট পদে থাকা অবস্থায় সকল অপকর্মের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সিস্টেম এনালিস্ট পদবীধারী হওয়ায় পলকের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায় যে, ব্যবস্থাপক ইরেশ সারোয়ার একাধিক দেশের (বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া) পাসপোর্ট সংরক্ষণ করছেন অর্থাৎ দ্বৈতনাগরিকত্ব নিয়েছেন। যা ডাটা সেন্টারের মত এমন একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ।
এমনকি অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে ইরেশ সারোয়ারের নিজ নামে লাইসেন্সকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা বিডিসিসিএল এর নিয়োগ বিধির সু-স্পষ্ট লংঘন। প্রতিমন্ত্রী পলক গ্রেফতার হলেও আজও ধরা পড়েনি তার সুবিধা ভোগীদের একটি বিশাল অংশ। যার মধ্যে উল্লিখিত ইরেশ সারোয়ার অন্যতম। ইরেশ সারোয়ার বিডিসিসিএল এর বোর্ড মেম্বার রকিব আহমদের ঘনিষ্ঠজন রকিব আহমদ স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বিডিসিসিএলে বোর্ড মেম্বার হিসেবে আছেন। যিনি তথাকথিত কে.জে.এস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড পরিচালক বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
জানা যায়, ২০২২ সালে স্পেনের রাজধানী বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস যান তিনি । তার পাসপোর্ট নম্বর BW0716037 । চিনা একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরে সেই সফর করেন ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, এই রকিব আহমদ পলকের পক্ষে ডাটা সেন্টারের সকল আর্থিক অনিয়মের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন। অর্থাৎ ইরেশ সারোয়ার এই রকিব আহমদকে দিয়েই তার আর্থিক স্বার্থ আদায় করে থাকেন। কোনো প্রকার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা বিবেচনায় না নিয়ে শুধুমাত্র পলকের নির্দেশে এই রকিব আহমদকে বোর্ড ডিরেক্টর করা হয়। হাসিনা সরকারের পতন এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের গ্রেফতারের পরে তথাকথিত বোর্ড মেম্বার রকিব আহমদ পলাতক আছেন বলে জানা যায়।