দেশের বাসাবাড়িতে নিজস্ব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালুর আগ্রহ দেখালেও বাংলালিংককে আইএসপি লাইসেন্স দিচ্ছে না বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ব্রডব্যান্ড সেবাদাতাদের আপত্তি এবং নীতিমালার সীমাবদ্ধতা এ সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিটিআরসি জানায়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইসেন্স থাকবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP)-দের হাতেই, মোবাইল অপারেটররা চাইলে তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সেবা দিতে পারবে।
অনলাইনে কেনাকাটা, ফ্রিল্যান্সিংসহ দৈনন্দিন নানা কাজে মোবাইল ও কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১৩ কোটি গ্রাহক। যার মধ্যে মোবাইল গ্রাহকই সাড়ে ১১ কোটি। তবে দৈনিক ব্যবহৃত ৬ হাজার ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকের বেশি ব্যবহার করেন এক কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার বাজার ৬-৭ হাজার কোটি টাকার। এই বাজারে প্রবেশ করতে চায় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। সম্প্রতি বিটিআরসির কাছে বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে আইএসপি লাইসেন্স চায় তারা।
তবে আইএসপি লাইসেন্সিং নীতিমালায়, মোবাইল অপারেটরদের জন্য ব্রডব্যান্ড সেবার লাইসেন্স গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলালিংক।
এর আগে, ২০২৪ সালে সেলুলার মোবাইল সার্ভিস গাইডলাইনে তার ছাড়াই ওয়াইফাই সেবা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের। শিগগিরই চালু হচ্ছে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি লাইসেন্স না দিতে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিন কোটি ৮৬ লাখ গ্রাহককে মোবাইল সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক।