দেশের মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন বান্ডেল প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত জানতে এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কার্যক্রম জানাতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ সম্পর্কিত গণশুনানি আজ সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগে থেকে নিবন্ধিত ৫০০ অতিথি অংশ নেন।
গণশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
এসময় কমিশনার (স্পেকট্রাম) মো. আমিনুল হাসান, কমিশনার (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রেজাউল কাদের, কমিশনার (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের মহাপরিচালকগণ নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত দেন।
বিটিআরসি ছাড়াও গণশুনানীতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, ভোক্তা অধিকার সংঘ, মোবাইলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন, বিটিআরসি’র লাইসেন্সধারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তাদের অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানীতে অংশ নেয়ার জন্য ২৪ মে ২০১৯ থেকে ৩ জুন ২০১৯ বিটিআরসি’র ওয়েবসাইটের নিবন্ধনের মাধ্যমে ২০২ জন গ্রাহক মোট ১,৩১৯ (এক হাজার তিনশত উনিশ) প্রশ্ন/অভিযোগ/মতামত কমিশনকে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণশুনানি সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করণের মাধ্যমে ১৬৫ জনকে শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
প্রশ্নসমূহের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের কলড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ (ভয়েস, ডাটা বান্ডল) এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইলফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ফাইভ জি, অ্যামেচার রেডিও সার্ভিস, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবাপ্রদানকারী লাইসেন্সিদের সেবা সম্পর্কিত বিষয়সমূহ অর্ন্তভূক্ত ছিল।
উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী শুনানী চলে।
গণশুনানীর শেষভাগে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক সার্বিক বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।