বলা হচ্ছে অক্ষর (ছোট+বড়), সংখ্যা ও প্রতীকের সমন্বয়ে তৈরি সংকেতই নিরাপদ পাসওয়ার্ড। পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে লম্বা একটি সাধারণ ইংরেজি বাক্যই পাসওয়ার্ড হিসেবে সবচেয়ে নিরাপদ হতে পারে এবং এটি মনে রাখাও সহজ।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও লম্বা বাক্যের পক্ষে। কারণ কোনো পাসওয়ার্ডে যদি ১৫টির বেশি অক্ষর থাকে তাহলে হ্যাকারদের জন্য তা অনুমান করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এমনকি যদি তারা যদি পাসওয়ার্ডের এনক্রিপশন কোডও পেয়ে যায় তাও বর্তমান কম্পিউটিং পাওয়ারে তা বের করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
অন্যদিকে, বর্তমান কম্পিউটিং পাওয়ার দিয়েই সনাতনী অক্ষর, সংখ্যা ও প্রতীকের অনেক পাসওয়ার্ডকে অল্প সময়ের মধ্যে বের করে ফেলা সম্ভব।
২০১৭ সালে আমেরিকান রিসার্চের প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও বলা হয় অক্ষর-সংখ্যা-প্রতীকের পাসওয়ার্ডের চেয়ে অনেক গুন বেশি শক্তিশালী বাক্য পাসওয়ার্ড, যা মনে রাখাও সহজ।
কতটা শক্তিশালী তা বুঝাতে এক্সকেসিডি একটি উদাহরণ দেয়। ধরা যাক, আপনার পাসওয়ার্ড Tr0ub4dor&3। এই পাসওয়ার্ডটি প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ অনুমান করতে সক্ষম এমন একটি কম্পিউটারের পক্ষে তিন দিনে বের করে ফেলা সম্ভব। বলাই বাহুল্য, পাসওয়ার্ডটি মনে রাখাও বেশ কঠিন।
অপরদিকে ‘correct horse battery staple’ এই বাক্যাংশটিকে পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করলে এটি হ্যাক করতে একই ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কম্পিউটারের ৫৫০ বছর সময় লেগে যাবে। অপরদিকে এমন একটি বাক্যাংশ মনে রাখাও বেশ সহজ।