সম্প্রতি ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভয়াবহ গরম পড়ায় মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিন্তা যেমন বেড়েছে, তেমনি স্মার্টফোনের যত্ন নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল থেকে ইতোমধ্যে একটি সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবেশের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা চিরদিনের জন্য কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত কম কিংবা অনেক বেশি তাপমাত্রা ফোনের আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে।
ব্যাখ্যা দিয়ে অ্যাপল বলছে, ‘এতে এক সময় ফোনটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
অ্যাপল তাদের ‘সাপোর্ট পোস্টে’ লিখেছে, উচ্চ তাপমাত্রায় আইওএস ডিভাইস ব্যবহার করবেন না। তাতে ব্যাটারি লাইফের স্থায়িত্ব কমে আসতে পারে।’
শুধু আইফোন নয়; যেকোনো ফোনের জন্যই অতিরিক্ত তাপমাত্রা ক্ষতিকর। এই সময়ে কী করা যাবে না তার একটি তালিকা দিয়েছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গরমের দিনে গাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না। সরাসরি সূর্যালোকের নিচে দীর্ঘ সময় রাখা যাবে না। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার যেমন জিপিএস ট্র্যাকিং অথবা নেভিগেশন এবং উন্নত গ্র্যাফিক্সের গেম খেলা যাবে না।
মোবাইল ডেটা চালু থাকলেও ফোন গরম হয়। ওয়াইফাইয়ের থেকে এই ডেটায় ফোন বেশি তাপমাত্রা উৎপন্ন করে। ফোনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অফ করতে হবে। রোদ থেকে সরিয়ে ঠান্ডা স্থানে নিতে হবে।
ফোন বেশি গরম হলে কি করবেন?
চার্জে থাকলে খুলে ফেলতে হবে। কিছুক্ষণ ফ্রিজের ভেতরও রাখতে পারেন। বেশি সময় যেন সেখানে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ফ্যানের সামনে অথবা গাড়ির এসিতেও রাখতে পারেন। এর ফলে ফোনের তাপমাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
ফোনের তাপমাত্রা যদি ভিডিও দেখতে দেখতে কিংবা গেম খেলতে খেলতে বেড়ে যায়, তাহলে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ফোনের ব্রাইটনেস কমাতে হবে।
এসবের বাইরে ফোন যদি নিয়মিত গরম হতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে অন্য সমস্যা আছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে।
আশার কথা হলো, ফোন গরম হলেও স্থায়ী ক্ষতি অত সহজে হয় না। তাই দ্রুততম সময়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়ে আনতে পারলে ক্ষতি এড়ানো যায়।