কম্পিউটার আমাদের অনেকের কাছেই আছে কিন্তু কারোরটার গতি কম আর কারোরটার বেশি।এই গতি কম বেশির জন্য র্যম্মাএর একটু হলেও হাত থাকে।তাই গতি বাড়াতে অনেকেই পরবর্তীতে আলাদা করে র্যাম কিনে ব্যবহার করেন।
কিন্তু আপনি কিভাবে সেই সঠিক র্যাম নির্বাচন করবেন আর সেসময় কী কী জানা উচিত চলুন জেনে নেই।
- কী কাজে ব্যবহার করবেনঃ আপনি আপনার কম্পিউটারে কী ধরণের কাজ করেন বা করবেন তার উপর নির্ভর করে আপনার কম্পিউটারে কত র্যাম হওয়া উচিৎ।তাই আগে নির্ধারণ করুন যে আপনি আসলে ঠিক কী করবেন।
- বাজেট ঠিক করুনঃ আপনি র্যমা কিনবেন সেটা ঠিক আছে কিন্তু টাকা কি আছে আর থাকলেও বা কত?কারণ টাকা আপনার র্যাম কেনার সাথে সরাসরি সংযুক্ত।আর বেজেটের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।
- মাদারবোর্ডের বিস্তারিত জানুনঃ আপনার মাদারবোর্ডে কি নতুন র্যাম লাগানোর জায়গা আছে?আপনার মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ কত বাস স্পীডের র্যাম সাপোর্ট করে সেটাও দেখে নিতে হবে।কারণ আপনি ভাল গতি পেতে হলে উচ্চ গতি সম্পন্ন র্যাম ব্যবহার করা উত্তম।তবে এত বেশি গতির র্যাম কেনা উচিৎ না যেটা আপনার মাদারবোর্ডই সাপোর্ট করবে না।তাই আপনার মাদারবোর্ডের বিস্তারিত জানুন।
- প্রোসেসর সম্পর্কে জানুনঃ মাদারবোর্ডের মত প্রোসেসরেরও একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে যার বাইরে কোন র্যাম একটা প্রোসেসর হ্যান্ডেল করতে পারে না।তাই জেনে নিন যে আপনার প্রোসেসর সর্বোচ্চ ঠিক কত গতির র্যাম সাপোর্ট করে।
- স্টোরেজ নির্বাচন করুনঃ আপনি যদি এভারেজ গেমার বা কোডার বা হাল্কা লেভেলের ভিডিও এডিটর হন তাহলে ৮ গিগবাইট হলে সাধারণ গতি পাবেন।আর যদি আরও উন্নতমানের ইডিটিং বা গেমিং করতে চান তাহলে আপনাকে স্টোরেজ আরও বাড়াতে হবে।
- গতি নির্বাচন করুনঃ আপনার মাদারবোর্ড আর প্রোসেসরের গতির সীমায় থাকে এমন গতি সম্পন্ন র্যাম কিনুন।আর গতি সীমার বাইরে গেলে যতই গতি হোক সেই র্যাম আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না।
পরেরবার র্যাম কেনার সময় উপরের বিষয়গুলোর প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিলে আপনারই লাভ। আর এতে আপনার ভোগান্তি বেশ কমে যাবে।