চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বৈশ্বিক স্মার্টফোন ডিসপ্লে বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে স্যামসাং ডিসপ্লে।
ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রিমিয়াম পণ্যে অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড বা ওএলইডি ডিসপ্লে ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। ওএলইডি ডিসপ্লে প্যানেল তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে স্যামসাং ডিসপ্লে। যে কারণে ওএলইডি ডিসপ্লের জন্য স্মার্টফোন নির্মাতারা স্যামসাং ডিসপ্লের দ্বারস্থ হচ্ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর টেলিকম লিড।
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ডিসপ্লে নির্মাণ বিভাগ স্যামসাং ডিসপ্লে ৩৪০ কোটি ডলার মূল্যের স্মার্টফোন ডিসপ্লে সরবরাহ করেছে। অর্থাৎ বৈশ্বিক স্মার্টফোন ডিসপ্লে বাজারে স্যামসাং ডিসপ্লের দখল ৪০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।
বৈশ্বিক স্মার্টফোন ডিসপ্লে বাজারের ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ডিসপ্লে। অন্যদিকে চীনভিত্তিক ডিসপ্লে নির্মাতা বিওই বাজারটির ১১ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিওই ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় ওএলইডি প্যানেল নির্মাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এক বছর আগের চেয়ে বৈশ্বিক স্মার্টফোন ডিসপ্লে বাজারে নিজেদের দখল দ্বিগুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো স্যামসাং তাদের স্মার্টফোনে ফুলস্ক্রিন অ্যাক্টিভ-ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড (এএমওএলইডি) ব্যবহার করে সাড়া ফেলেছিল। ক্রমে স্মার্টফোন নির্মাতাদের নজর কাড়ে এ ডিসপ্লে প্যানেল। এর ফলে প্রায় সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে এএমওএলইডি ডিসপ্লে প্যানেলের ব্যবহার শুরু হয়।
২০১৮ সালে স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলও তাদের আইফোনে ওএলইডি ডিসপ্লে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ওএলইডি ডিসপ্লের জন্য স্যামসাং ডিসপ্লের দ্বারস্থ হয় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।