সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন কেনা শাওমি ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। চলতি মাসেই জামালপুরে এক ব্যক্তি মোবাইল বিস্ফোরণে আহত হন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে ফেনীতে একই ঘটনায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যু ঘটে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটছে। এটা যেকোনো ক্রেতার কাছে শঙ্কার বিষয়। ব্রিটেনে স্যামসাংয়ের মতো শীর্ষমানের ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট বিস্ফোরিত হয় ১১ বছর বয়সী এক কিশোরের হাতে। আরেকটি ঘটনায় মোবাইল চার্জ দেয়ার সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। ব্ল্যাকবেরি এবং হুয়াওয়ের মতো মোবাইল ব্যবহার করতেন তিনি। এসব ঘটনা যেকোনো মোবাইলের ক্ষেত্রে ঘটে যেতে পারে। তবে নিরাপদে মোবাইল চার্জ দেয়ার কাজটি সারতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশারদরা। এতে অন্তত মোবাইল বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ বিষয় এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১. চার্জ দেয়ার জন্যে থার্ড-পার্টির ক্যাবল বা অ্যাডাপটার ব্যবহার করবেন না। ফোনের সাথে দেয়া অরিজিনাল অ্যাডাপটার এবং ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে।
২. যদি ফোনের ব্যাটারি বদলাতেই হয়, তবে কেবলমাত্র ফোন নির্মাতার অথবা তাদের অনুমোদিত ব্যাটারিই ব্যবহার করবেন।
৩. স্মার্টফোন প্রয়োজনের অতিরিক্ত চার্জ করবেন না। কেবল স্মার্টফোনই নয়, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে চলে এমন যেকোনো প্রযুক্তিযন্ত্র অতিচার্জ দেয়া ঠিক নয়।
৪. উত্তপ্ত কোনো কিছুর কাছাকাছিও মোবাইলটি রাখবেন না। এছাড়া কাগজ, কাঠের আসবাবপত্র, বিছানা ইত্যাদির মতো অগ্নিদাহ্য উপরিভাগের ওপর ফোন রেখে চার্জ দেবেন না।
৫. ঘুমানোর সময় মোবাইল চার্জ দিলে ওটাকে কখনোই বালিশের নিচে রাখবেন না।
৬. স্মার্টফোন বা অন্যান্য যন্ত্র কখনোই সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না।
৭. ফোন বা ব্যাটারি ঠিক করতে হলে তা অনুমোদিত মেরামত কেন্দ্রেই দিতে হবে।
৮. আলাদাভাবে তার যুক্ত করে সেই চার্জার দিয়ে প্রযুক্তিযন্ত্র চার্জ দেবেন না।
৯. চার্জ দেয়া অবস্থায় যন্ত্রের ওপর যেন বাড়তি চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। অর্থাৎ, এর ওপর অন্য কিছুর ভার চাপানো এড়িয়ে চলুন।
১০. অনেকেই মোবাইলে কেস ব্যবহার করেন। চার্জ দেয়ার আগে কেসিং খুলে নেয়া উচিত।
সূত্র: গেজেট স্নো