দেশের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বাংলামটরে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, জীবনের জন্যই প্রযুক্তি প্রয়োজন, আর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন গণমাধ্যম।
‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই বিষয়ে গবেষণার ফলাফল গোলটেবিলে উপস্থাপন করা হয়। দেশের ৮টি বিভাগের ২৪টি জেলার ১৬টি বিদ্যালয় ও ৮টি মাদ্রাসার (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) উপর এ জরিপ চালানো হয়, যেখানে অংশগ্রহণ করে ২৪শ শিক্ষার্থী এবং ৪২ জন শিক্ষক ও অভিভাবক।
ফলাফলে দেখা যায়, দেশের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাছাড়া জরিপ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৪সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে, যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর হার ৪৫.৪ শতাংশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হার ৬৯.২ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮২.৫ শতাংশ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ পড়ে ও শেয়ার করে। শুধু ১২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। ২৭.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কোন সংবাদ পাওয়ার পর সেটি পুনরায় যাচাই করে দেখে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ লুৎফর রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন মুরশিদ আখতার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হ্যানিলো। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাকমিডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নজর-ই জিলানী।