এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন করা হবে। শনিবার (৩ আগস্ট) সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশন পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানানা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
পরমাণু শক্তি কমিশন ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইজিপ্টি মশা নিয়ন্ত্রণে ‘স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক’ (এসআইটি) উদ্ভাবনের দাবি করেছে। এই পদ্ধতিতে পুরুষ মশাকে বন্ধ্যা করে ছেড়ে দেয়া হবে। এর ফলে স্ত্রী মশা ডিম পারলেও তা নিষিক্ত হবে না।
প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কীট জীব প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা ‘এসআইটি’ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, পদ্ধতটি গবেষণাগারে কার্যকর বলে প্রমাণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে পুরুষ এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। এই মশা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হয়। আর ওই স্ত্রী এডিস মশা যে ডিম বা লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান শীঘ্রই এই উদ্ভাবন মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এম. আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ, বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।