হুয়াওয়ের পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে ম্যাপস, ইউটিউবের মতো গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপগুলো থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে হুয়াওয়ের কাছে পণ্য ও সেবা বিক্রিতে অনুমতি না আসায় অ্যাপের লাইসেন্স দিতে পারছে না গুগল। গুগলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় হুয়াওয়ের পরবর্তী ফোনে গুগল প্লে অ্যাপ স্টোরও সমর্থন করবে না। এতে গ্রাহকেরা অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যায় পড়বেন।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গুগলের অ্যাপ ছাড়া ফোন বিক্রি করতে সমস্যায় পড়তে হবে হুয়াওয়েকে।
গত মে মাসে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন সরকার। এতে দেশটির কোম্পানিগুলোর পক্ষে হুয়াওয়েকে পণ্য ও সেবা দেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হুয়াওয়ে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বলেন, কিছু ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হবে।
হুয়াওয়ের কাছে পণ্য ও সেবা বিক্রির ১৩০টির বেশি আবেদন পড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসার জন্য কোনো লাইসেন্স মঞ্জুর করেননি।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত সফটওয়্যার। তাই অনেক স্মার্টফোন নির্মাতা স্মার্টফোন ও ট্যাবে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তবে স্মার্টফোনে ম্যাপ, সার্চ, ফটোজ, প্লেস্টোর ও ইউটিউবের মতো সেবা যুক্ত করতে গুগলের সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন পড়ে।
হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে অ্যাপ রাখার জন্য গুগল আবেদন করেছে কিনা তা গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
হুয়াওয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অনুমতি দিলে তারা অ্যান্ড্রয়েড ওএস এবং এই ইকোসিস্টেমের ব্যবহার চালিয়ে যাবে। তা না হলে তারা নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম উন্নয়নকাজ চালিয়ে যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে হুয়াওয়ের সম্পর্ক বিষয়ে গ্রাহকের উদ্বেগ দূর করতে তারা হুয়াওয়ে আনসারস নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে।
হুয়াওয়ে তাদের পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ ফোন মেট ৩০ প্রো উন্মুক্ত করবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির পর এটাই তাদের বড় ধরনের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস বাজারে আনার উদ্যোগ। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গুগলের সেবা ছাড়া ফোন আনা হলে ইউরোপের বাজারে বড় ধাক্কা খাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ে বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে হারমনি ওএস তৈরিতে কাজ করছে।