হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন জেংফেই বলেছেন, চীনা টেক জায়ান্ট কোম্পানি হুয়াওয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষকে সন্তোষজনক সেবা দিতে তাদের সহযোগীদের নিয়ে একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রেন বলেন, হুয়াওয়ের লক্ষ্য হলো উন্নত প্রযুক্তির বিকাশে কাজ করে মানবজাতির কাছে ‘কাটিং এজ’ সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমাদেরকে সমর্থন করতে চায় এমন যেকোনও কোম্পানিকেই আমরা সহায়তা করতে চাই।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের চেংদুতে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ইনোভেশন ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে ৫জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কাটিং এজ- এর মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশনগুলো কীভাবে মানুষের জীবনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। অনুষ্ঠানে উদ্ভাবক, বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকেরা কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন করে পরিবেশকে সাজানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে কুনপেং ইকোসিস্টেম বেজ উন্মোচন করা হবে এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি যেমন ৫জি টেলিমেডিসিন ও বধির শিশুদের জন্য কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত সর্বশেষ অগ্রগতি প্রদর্শন করা হবে।
রেন বলেন, আগামী পাঁচ বছরে হুয়াওয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো পুনর্গঠন করে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে আরও সহজ, দ্রুত গতিসম্পন্ন, নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।
হুয়াওয়ের সাসটেইনাবিলিটি রিপোর্ট ২০১৮ অনুসারে ভবিষ্যত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে হুয়াওয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করছে টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা শক্তির অপচয় রোধ এবং এর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে হয়াওয়ে ৫জি প্রযুক্তির গবেষণা, পণ্য ও প্রকৌশলগত উন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। হুয়াওয়ের প্রতিটি ৫জি সাইটের বিদ্যুৎ খরচ এই খাতে ব্যবহার হওয়া বিদ্যুতের তুলনায় গড়ে ২০ শতাংশ কম।