কথায় আছে, ফুটন্ত পানি থেকে জ্বলন্ত উনুনে। অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম বিপদ থেকে আরও বড় বিপদে পরা। যাদের সিগারেট ছাড়ার স্বদিচ্ছা থাকে তারা অনেকেই চেষ্টা করেন ই-সিগারেটের মাধ্যমে এটা কমিয়ে দিতে। ই-সিগারেট মোটামুটি বিলাসী দ্রব্য। সিগারেটের সঙ্গে তুলনা করলে এর দাম আকাশ ছোঁয়া। তারপরেও মানুষ সিগারেট থেকে মুক্তি পেতে নিজের পকেট কেটে হলেও ই-সিগারেটের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু আমেরিকাতে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের অনেকেই ই-সিগারেট ব্যবহার করতেন। এমনকি ই-সিগারেট আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক অনুমোদিত। তারপরেও অনেকেই এর দ্বারা ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ই-সিগারেটও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি দ্য সেন্টারস ফর ডিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর এমডি ও পরিচালক রবার্ট আর রেডফিল্ড। তিনি বলেছেন, আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এটা খুঁজে বের করতে যে, মানুষ কি কারণে অসুস্থ হচ্ছে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেটা আমরা বিশ্লেষণ করছি। খুব দ্রুতই আমরা এর উত্তর খুঁজে পাবো এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে পারবো।
সিডিসি’র রিপোর্টে বলা হয়, আমেরিকার ২৫ রাজ্য থেকে খবর এসেছে এসব রাজ্যে যারা ই-সিগারেট ব্যবহার করতো তারা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগের ভেতর শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, কফ, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি আছে। তাই রাস্তা থেকে কোনো ধরনের ই-সিগারেট কিনতে বারণ করা হয়েছে। এমনকি অনুমোদিত ব্র্যান্ড বা দোকান ছাড়া ই-সিগারেট সম্পর্কিত কোনো পণ্য কিনতেও না করা হয়েছে। যেমন ই-সিগারেটের রিফিল, লিকুইড পডস, ডিভাইস, কার্টিজ ইত্যাদি।
আমাদের দেশে যেহেতু এই ধরনের কোনো গবেষণা নেই, তাই আন্তর্জাতিক গবেষণার উপর নির্ভর করেই ই-সিগারেট ব্যবহার করা উচিৎ। না হলে দেখা যাবে টাকা-পয়সা, সময় তো খরচ হলোই একই সঙ্গে সাধারণ সিগারেটের যে ক্ষতিকর প্রভাব সেটাও পাওয়া গেল ফ্রি!