জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটস।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাস্থল লোটে নিউইর্য়ক প্যালেসে এসে সাক্ষাৎ করেন বিল গেটস।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ৫১ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল নিয়ে এটি বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে সংস্থাটি দারিদ্র বিমোচন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রেও কেউ যাতে শিক্ষা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। তার জন্য কাজ করে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
বিল গেটস ছাড়াও লোটে প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রানডি, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এবং এক্সন মবিল এলএনজি মার্কেট ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স ভি ভলকভ।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
পরে লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সন্ধ্যায় ইউনিসেফ ‘অ্যান ইভনিং টু অনার হার এক্সিলেন্সি প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশেও কাজ করে থাকে এই বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তবে তাদের বেশিরভাগ তহবিল সরাসরি বাংলাদেশে আসেনা। তারা গ্লোবাল ফান্ডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয় আর সেখান হতে বাংলাদেশে কাজ করা এনজিওগুলো অর্থ পায়।