দাম ও সামর্থ্যের বিচারে ড্রোন নানা প্রকারের হয়ে থাকে। অনেক দামী ড্রোনও আছে যা সহজেই ব্যবহার করা যায়। স্পর্শ করেই এসব ড্রোন উড়ানো যায় আবার ড্রোনকে নামিয়ে আনা যায়। আবার দামে সস্তা হলেও কিছু কিছু মডেলের ড্রোন আছে যেগুলো ব্যবহার করা অনেক সহজ। আকারে ও দামের দিক দিয়ে যেমন নানা রকমের ড্রোন আছে তেমনি একেক মডেলের ড্রোন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। রেসিং, ছবি বা সেলফি তোলার জন্যও ড্রোন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যারা আগে কখনো ড্রোন ব্যবহার করেননি তাদের জন্য কিছু ড্রোন নিয়ে সম্প্রতি একটি ফিচার প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।
স্ন্যাপটেইন এস৫সি ওয়াইফাই এফপিভি ড্রোন
আমাজন থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে এ ড্রোন। এক টাচেই ড্রোনটি উড়ানো ও নামিয়ে আনা যায়। নির্দিষ্ট উচ্চতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ন্যাপটেইন ড্রোনটি শূন্যে ভাসিয়ে রাখা যায়। ৭২০পি ভিডিও ট্রান্সমিশন থেকে ৮০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত, গেমপ্যাড স্টাইল কন্ট্রোলার, ড্রোন কী দেখছে তা ভিআর হেডসেটের মধ্য দিয়ে দেখা যায় এ ড্রোনে। এটির প্রতি হাত নাড়ালেই তুলে ফেলবে সেলফি।
পোটেনসিক আপগ্রেডেড এ২০ মিনি ড্রোন
পোটেনসিক আপগ্রেডেড মিনি ড্রোন বাচ্চাদের জন্যও কিনতে পারেন। খুবই ছোট আকৃতির (৩.৫”x৩.১”x১.২৫) এ ড্রোনের গড়ন বেশ মজবুত। এটি খুবই উন্নতমানের ড্রোন, তিনধাপে আপনি ধীরে ধীরে এটির গতি বাড়াতে পারবেন। ড্রোনকে যে কোনো ডিরেকশনে উড়ানো যাবে; এটি রিমোটধারীর অবস্থান বুঝে সাড়া দিয়ে থাকে। ড্রোনটি এ২০ ক্ষুদ্রাকৃতির ভিডিওগেম স্টাইল কন্ট্রোলার ব্যবহার করে।
অলটেয়ার এএ১০৮ ক্যামেরা ড্রোন
এ ড্রোনকে যে দিকে ইচ্ছা উড়ানো যায়, এতে রয়েছে ১২০ ডিগ্রি ওয়াইড এঙ্গেল ৭২০পি ক্যামেরা, রিমোট যাতে ফোনের দরকার নেই (তবে কাস্টম রুটের ক্ষেত্রে যেখানে আপনি ড্রোনকে নিয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে পারে), এটি নিজের প্রয়োজনে জরুরি অবতরণ করতে পারে, ভিআর-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটি চলতে পারে, এটির পরিধি ১০০ মিটার। এটি সহজেই উড়ানো যেতে পারে তবে আপনার দক্ষতা বাড়লে আপনি ড্রোনের গতির পরের ধাপে যেতে পারবেন। অর্থ্যাৎ ড্রোনের সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দক্ষতাও বাড়বে।
হাবসান এইচ৫০১ এসX৪ স্ট্যান্ডার্ড এডিশন
জিপিএস সংবলিত এ ড্রোনটির এমন কর্মক্ষমতা আছে যা কম দামী ড্রোন খুব কম সময়ই করে দেখাতে পারে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কাছে ফিরে আসবে কোনো ইনপুট ছাড়াই এবং আশা করা যায় ড্রোনটি এটা করবে কোনো কিছুকে আঘাত করা ছাড়াই। এ ড্রোনের কন্ট্রোলারে আছে ৪.৩ ইঞ্চি এলইডি স্ক্রিন এর মাধ্যমে আপনি ড্রোনের ক্যামেরা ভিউ দেখতে পারবেন। এর কন্ট্রোলারও বেশ আপগ্রেডেড তবে তার জন্য বাড়তি খরচ হবে ৩০ ডলার।
এশিন (Eachine) ই৫১১১এস
আপনি যদি ড্রোনের আপগ্রেডেড মডেল পেতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে চান তাহলে এই ড্রোনটি ক্রয় করতে পারেন। এ ড্রোনে পুরোপুরিভারে জিপিএস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে, এটি উৎসস্থলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরে আসতে পারে এবং এতে ফলো মি মুডও সংযুক্ত রয়েছে। সেলফি তোলা ও হাইকিংয়ের সময়, বাইক চালানোর সময় কিংবা বাইরে আপনার যে কোনো কর্মকাণ্ডের ছবি তুলতে এ ড্রোনের জুড়ি নেই। এতে অরবিট মুড থাকায় এ ড্রোন নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তির চারপাশে ঘুরতে থাকে। আপনার পছন্দের মুহূর্তের ছবি ধারণ এবং এটি কোন পথে উড়বে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে পারবেন। ১০৮০ পি ভিডিও ধারণ ও ৪৫ ডিগ্রিতে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের ছবি তোলা যা। এ ড্রোনের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার ও ধীরগতিতে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।