২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসা গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছিল স্যামসাং। এরপর গত সপ্তাহে অভিযোগ ওঠে যে কারো ফিঙ্গারপ্রিন্টেই আনলক হয়ে যাচ্ছে গ্যালাক্সি এস১০ স্মার্টফোন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। গত মার্চে বাজারে আসা গ্যালাক্সি এস১০ স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইস্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ গ্যালাক্সি এস১০ ও নোট ১০ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। খবর ফোর্বস।
ডিভাইসের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো গ্যালাক্সি এস১০ ও নোট ১০ স্মার্টফোন থেকে তাদের আর্থিক লেনদেনের অ্যাপ সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ডিভাইস দুটি নিরাপদ নয় বলে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
বিবৃতিতে স্কটল্যান্ডের রয়্যাল ব্যাংকের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে স্যামসাং পে ব্যবহার করে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন না গ্যালাক্সি এস১০ ও নোট ১০ ব্যবহারকারীরা।
গত সপ্তাহে অভিযোগ ওঠে যে কারো ফিঙ্গারপ্রিন্টেই আনলক হয়ে যাচ্ছে গ্যালাক্সি এস১০। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে স্যামসাং। এরই মধ্যে সফটওয়্যার হালনাগাদের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন ইস্যুর সমাধান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্যালাক্সি এস১০ স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরে ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে স্যামসাং। একই সঙ্গে শিগগিরই ত্রুটি সারাইয়ে সফটওয়্যার হালনাগাদের মাধ্যমে প্যাচ সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। ডিভাইসটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইস্যু সম্পর্কে প্রথম জানান ব্রিটিশ নারী লিসা নিলসেন। ফোনে স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগানোর পর তিনি প্রথমে নিজের বাঁ হাতের আঙুলের ছাপ দিয়ে খোলেন নিজের ব্যবহূত গ্যালাক্সি এস১০ ডিভাইসটি। অথচ ওই আঙুলের ছাপে খোলার কথা নয় ডিভাইসটি। পরে কৌতূহলী হয়ে স্বামীকে চেষ্টা করতে বলেন, সেবারও আনলক হয়।