পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়ে দুই পরিধেয় ‘মনিটরিং ডিভাইস’ নির্মাতার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন ফেডারেল নিয়ন্ত্রকরা। শুক্রবার বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন তারা।
পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগটি এনেছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা ফিলিপস। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, ফিলিপসের ওই অভিযোগের কারণে তদন্তের মুখে পড়েছে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা ফিটবিট ও গারমিন।
এক বিবৃতিতে ‘ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন’ (ইউএসআইটিসি) তদন্তের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। গত মাসেই অভিযোগ দায়ের করেছে ফিলিপস। শুধু ফিটবিট ও গারমিন নয়, চীনের দুই পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাও পড়েছে তদন্তের মুখে।
“ইউএসআইটিসি এখনও মামলার অভিযোগ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাবে ইউএসআইটিসি।” – বলছে ইউএসআইটিসি।
মূলত ফিলিপসের চার পেটেন্টকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মামলাটি। ফিলিপসের ওই চার পেটেন্টে রয়েছে স্মার্টওয়াচের নানাবিধ ফাংশন। এসব ফাংশনের মধ্যে রয়েছে মোশন ট্র্যাকিং, অ্যালার্ম রিপোর্টিং, ইত্যাদি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ফিটবিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, “এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলেই আমরা বিশ্বাস করি। পরিধেয় প্রযুক্তির বাজারে ফিলিপস সফল হতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব করছে।” এদিকে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গারমিন।
পুরো বিষয়টি প্রসঙ্গে ফিলিপসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে ফিটবিট ও গারমিনের সঙ্গে ‘অনুমোদন সমঝোতা’ করার চেষ্টা করেছে ফিলিপস, কিন্তু আলোচনায় আখেরে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
“ফিলিপস প্রত্যাশা করে, ফিলিপস যেভাবে তৃতীয় পক্ষের মেধাস্বত্ত্ব অধিকারকে সম্মান করে, ঠিক সেভাবেই তৃতীয় পক্ষরাও ফিলিপসের মেধাস্বত্ত্ব অধিকারকে সম্মান জানাবে।” – বলেছেন ফিলিপস মুখপাত্র।
পরিধেয় স্বাস্থ্য-নজরদারি বা মনিটরিং ডিভাইসের বাজারে ফিটবিট, গারমিন ও ফিলিপসের পণ্য পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে থাকে। ডিসেম্বরের ওই অভিযোগে, পেটেন্ট লঙ্ঘনকারীদের উপর কর জারি করতে বা কোনো পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অনুরোধ জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ফিলিপস এবং উত্তর-আমেরিকাভিত্তিক পরিপূরক প্রতিষ্ঠান।