‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ শব্দ দুটি এখন প্রায়ই উচ্চারিত হচ্ছে। মুদ্রায় লেনদেন হবে ঠিকই, তবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এতে কাগুজে নোট ও ধাতব পয়সার আদান-প্রদানের ব্যাপার থাকবে না। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশের মতো মোবাইল ওয়ালেট, পেপ্যালের মতো ই-ওয়ালেট কিংবা অ্যাপল পের মতো মোবাইল পেমেন্ট প্রসেসর এই শ্রেণিতে পড়ে। ব্যাংক চেকও অবশ্য একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত।
যুক্তরাষ্ট্রে এই ডিজিটাল লেনদেন এতই জনপ্রিয় যে দোকানগুলো এখন আর কাগুজে নোটের ঝামেলা নিতে চায় না। কাগুজে নোট গ্রহণে বাধ্য করতে আইন প্রণয়ন করতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকো ও ফিলাডেলফিয়ার পর ২৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক সিটিতেও ভোটাভুটির মাধ্যমে এমন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ব্যবসায় নিরুৎসাহ করার পেছনে যুক্তি হলো, এতে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপল পের মতো লেনদেনব্যবস্থা নেই, তারা হয়তো বৈষম্যের শিকার হবে।
আইনপ্রণেতাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সে যুক্তি ঠিক আছে। তবে ডিজিটাল লেনদেনই যে ভবিষ্যৎ, তা-ও অস্বীকার করার উপায় কই?
ডিজিটাল লেনদেনে পশ্চিমা দেশগুলো পথ দেখালেও প্রবৃদ্ধির হারে কিন্তু এশিয়া এগিয়ে। এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোতে ২০১৬ সালে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে পরিমাণটা ৩৫ হাজার ২৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলও এ খাতে এগিয়ে যাবে।