ওয়াইফাই কানেকশনের গতি শুধুমাত্র প্রোভাইডারের সমস্যার কারণে কমে না। গতি ঠিক রাখতে আপনারও কিছু করণীয় রয়েছে।
১. ফ্রিকোয়েন্সি: অধিকাংশ ওয়াইফাই 2.4GHz এবং 5GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে চলে। 5GHz-এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের রিচ কম হলেও কানেকশনে বাধা কম হয়। তবে 2.4GHz-এর কানেকশনে বাধা বেশি হয়। তাই 5GHz রাউটার ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে ইন্টারনেটের স্পিড যেমন বাড়বে এবং বাধা কম হবে। স্বল্প দূরত্বে ৫ গিগাহার্টজ বেশি কার্যকর। রেঞ্জ কম হলেও গতি বেশি মেলে এই কম্পাঙ্কে।
২. ঠিক জায়গায় রাউটার বসান: ঘরের মাঝখানে উঁচু কোনো স্থানে রাউটার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা। রাউটারে যদি অ্যানটেনা থাকে আর দেয়াল পেরিয়ে সিগনাল পাওয়ার প্রয়োজন থাকে, তবে অ্যানটেনাগুলো রাখতে হবে সরলকোণে। ইট বা কংক্রিটে বানানো মোটা দেয়াল থেকে রাউটারকে যথাসম্ভব দূরে রাখুন।
ম্যাশএবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াই-ফাই সিগনালের জন্য সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পানি আর জানালা। আশপাশে পানির পাইপ থাকলে তা ধীর করে দিতে পারে ওয়াই-ফাইয়ের গতি।
৩. ডিভাইস: ওয়াইফাই সংযোগের ডিভাইস সংখ্যা সীমিত করে দিন। ঘরে থাকা সব ডিভাইস বা আত্মীয়-বন্ধুদের ডিভাইসে সংযোগ দিলে ধীরগতি হবে ইন্টারনেট।
৪. হার্ডওয়ার আপগ্রেড করে দেখুন: আউটডেটেড হার্ডওয়ারের কারণেও ইন্টারনেট স্পিড স্লো হতে পারে। তাই অবশ্যই আপগ্রেডেড মডেলের রাউটার ব্যবহার করুন। পুরনো রাউটারে ইন্টারনেটে স্পিডও স্লো হতে পারে।
৫. নতুন রাউটার: অনেক সময় ওয়াই-ফাইয়ের গতি কম হওয়ার কারণ হতে পারে আপনার ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রাউটারের কারণে। বর্তমানে বাজারে থাকা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রাউটারগুলো ব্যবহার করে দ্রুতগতির ওয়াইফাই পেতে পারেন।