চীনের ভিডিও অ্যাপ্লিকেশন টিকটক তার মার্কিন ব্যবহারকারীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প।
আসছে নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুক বিজ্ঞাপনে নির্বাচনী প্রচারণাগুলোতে এই তথ্য তুলে ধরছেন তিনি। খবর রয়টার্সের
তবে টিকটক বলছে, এখন পর্যন্ত চীনকে কোন প্রকার তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। এমনকি ব্যবহারকারীর তথ্য চীন চাইলেও তা টিকটক সরবরাহ করতে বাধ্য নয়।
চাপে পড়ে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স হয়ত চীনের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য হস্তান্তর করতে পারে। এমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনে।
এই উদ্বেগকে ব্যবহার করে ট্রাম্প ফেসবুকে টিকটকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে- টিকটক আপনার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে, সকালে আপনার ফোনের ক্লিপবোর্ডের তথ্য নজরদারি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছে টিকটক।
অপর এক বিজ্ঞাপনে একটি অনলাইন সার্ভের লিংক দিয়ে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যান করা উচিত কিনা এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত মাসে অ্যাপেল অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন টেস্ট করার সময় দেখা যায় ব্যবহারকারীর ক্লিপবোর্ড থেকে মুছে ফেলার পরেও সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে টিকটক।
তবে টিকটকের দাবি, নোটিফিকেশনটি টিকটকের অ্যান্টি-স্প্যাম ফিচারের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের কারণে এসেছিল। যা কিনা গত মাসেই তুলে নেওয়া হয়েছে।
টিকটকের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানায়, আমাদের কাছে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা এবং নিরাপদ ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জুলাইয়ের প্রথম দিকে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও জানান, দেশটি টিকটকসহ চীনের সকল অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা পরিকল্পনায় রয়েছে। ভারত গত জুনে টিকটকসহ কয়েকটি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে।
ফেসবুকের অনলাইন রাজনীতিকে নকল উল্লেখ করে টুইটারের মুখপাত্র জানান, ফেসবুক টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করছে যা একই ঘরনার লোকদের জন্য সাংঘর্ষিক। যা টিকটকের হুবহ নকল ছাড়া আর কিছুই নয়।