মৌলভীবাজারে জন্ম নেওয়া আয়শা আক্তার, স্বামী মৃত্যুর পর ৩ সন্তান নিয়ে বাস করেন সিলেট শহরে। পরিবার প্রধানের বিয়োগে অর্থনীতিতে অচল হয়ে পড়ে আয়শার পরিবার। ফেসবুক স্ক্রলে বিভিন্ন পেজের বিজ্ঞাপন দেখে সন্ধান মিলে সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার চালানোর সম্ভাব্য রাস্তার। তারপর ফেসবুক পেজ ও শোরুমের মাধ্যমে শুরু করেন বুটিকসের উদ্যোগ। তখন আয়শার ছিল না অনলাইন ব্যবসার পর্যপ্ত ধারণা।
২০১৯ সালের ৩রা নভেম্বর উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে জয়েনের মাধ্যমে শুরু হয় ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়। এ প্লাটফর্মে দেশির পন্যের প্রচারের মুগ্ধ হয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে সিদ্ধন্ত নেন সিলেট অঞ্চলের সুপ্রসিদ্ধ শীতলপাটির বিক্রির। দেশি পন্যের জোয়ারে আয়শা শুরু করেন ই-কমার্স যাত্রা। উদ্যোগের নাম দেন ”শীতলপাটি”।
ই-কমার্সের সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরে শীতলপাটি পৌছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন আয়শা। এ শিল্পের কারিগরদের হারিয়ে যাওয়া আগ্রহকে নতুন উদ্যোমে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্নও দেখেন। তিনি মনে করে ই-কমার্সের মাধ্যমে শীতলপাটির পুরোনো সুনাম ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই গয়না, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাট, সেন্ডেল, ব্যাগ, টিসু বক্স, পার্স সহ নতুন নতুন ফিউশন তৈরি করে সম্ভাব্য ক্রেতাদের শীতলপাটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ শুরু করেছেন।
হাজারো নারীর মতো তাকেও বিশেষ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পন্যের সোর্সিং, প্যাকেজিং সহ অন্যান্য কাজ গুলো আগ্রহের সাথে করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি মনে করেন, কোন কিছুকে পাত্তা না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
আয়শার ই-কমার্স এর হাতে কড়ি ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদের কাছ থেকে। তাকে এডভাইজর মান্য করে এগিয়ে নিচ্ছে নিজের উদ্যোগ “শীতলপাটি”। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে যখন বুটিকস শপ বন্ধ হয়ে যায় শীতলপাটিই আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে উঠে। ই-কমার্সে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ও আন্তর্জাতিক ই-লার্নিং প্লটফরম কোর্সেরাতে কোর্স করছি।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স (উই) গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা এবং উপদেষ্টা রাজীব আহমেদের চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।