ক্যামেরা দিয়ে আড়িপাতে ইনস্টাগ্রাম। এটি কোনো সাধারণ নজরদারি না, গোপনে ব্যবহারকারী হ্যান্ডসেটের ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সব কিছুই দেখছে অ্যাপটি—সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠে এসেছে এক মামলায়।
অভিযোগ তুলেছেন নিউ জার্সির বাসিন্দা ব্রিটানি কনডিটি নামে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী। বৃহস্পতিবার সানফ্রান্সিসকোর আদালতে এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। বলা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের সাহায্যে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সবসময়ই রীতিমত ভিডিও নজরদারি করা হচ্ছে!
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মামলার সঙ্গে জুলাইয়ের ওই ঘটনাটির সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ফেসবুকের বিরুদ্ধেও এর আগে এমন অভিযোগ উঠেছিল গত জুলাইয়ে। অনেকের ধারণা, যখন অ্যাপটি ব্যবহার করা হয় তখনই হয়তো এই অনধিকার চর্চা বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘণ করা হতো। কিন্তু এখানেই শেষ না; ব্যবহারকারীরা যেই মুহূর্তে অ্যাপ ব্যবহার থেকে বিরত ছিল, তখনও তাদের স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ওই সময় মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজ হয়নি ফেসবুক। জুলাইয়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে বাগ খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুক জানিয়েছিল, আমরা আপনার ক্যামেরায় প্রবেশ করি না, এবং কোনো কনটেন্ট রেকর্ড করি না।
জনপ্রিয় ছবি ও ভিডিও শেয়ার অ্যাপ ‘ইনস্টাগ্রাম’ ফেবুকের অধীনেই পরিচালিত হয়। এই প্রথম নয়, গত আগস্টেও ফোনের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এক কোটি ইনস্টাগ্রাম গ্রাহকের তথ্য হাতানোর অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ফেসবুক সেই অভিযোগও অস্বীকার করে। পাল্টা দাবি করেছিল, ইনস্টাগ্রাম ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে না।