হ্যাকিং সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি তাই না?তবে কিছু মানুষের হ্যাকিং সম্পর্কে একটা ধারণা হলো যে হ্যাকিং মানেই অপরাধ। আপনার কি মনে হয় হ্যাকিং শুধু অপরাধ করতেই ব্যবহার করা হয়?চলুন জেনে নেই হ্যাকিং সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।
সবার আগে জানতে হবে যে হ্যাকিং আসলে কী?হ্যাকিং হলো নিরাপত্তা ত্রুটি ব্যবহার করে অন্য কারও সিস্টেমে প্রবেশ করা। দেখুন হ্যাকিং এর সংজ্ঞায় কিন্তু কোথাও বলা নেই যে এটা বেআইনিভাবে করা হয়।এখানে শুধু বলা হয়েছে যে নিরাপত্তা ত্রুটি ব্যবহার করে অন্যের সিস্টেমে প্রবেশ করাই হলো হ্যাকিং।
এটা আইনি আবার বেআইনি পদ্ধতিতেও করা যায়। এইরকম দিক বিবেচনা করে হ্যাকিং ও হ্যাকারদের তিনটি ধরণে ফেলা যায়। এগুলো হলো হোয়াইট হ্যাট, ব্ল্যাক হ্যাট ও গ্রে হ্যাট।
এইখানে যারা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার তারা মূলত কোন একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে যাদেরকে ইথিক্যাল হ্যাকার বা পেনেট্রেশান টেস্টার বলা হয়। এরা বিভিন্ন জিনিসকে হ্যাক করার চেষ্টা করতে থাকে। আর যখন হ্যাক করতে সক্ষম হয় তখন গবেষণা করে ঠিক কোন যায়গায় নিরাপত্তা ত্রুটি আছে আর চিহ্নিত করা হয়ে গেলে তারা সেই জিনিসের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এই ত্রুটি সম্পর্কে জানায়।
আর তারা এই ত্রুটি কোন রকম অসৎ কাজে লাগায় না। আর ব্ল্যাক হ্যাট নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এরা বেশ খারাপ প্রকৃতির হ্যাকার। এরা মূলত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাংক, কার্ড ইত্যাদি হ্যাক করে থাকে। আর এই ধরণের হ্যাকিং করার ফল বেশ বড় মাপের শাস্তিতে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে। তাই যথা সম্ভব এই ধরণের হ্যাকিং থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। আর এই ব্ল্যাক হ্যাট ও হোয়াইট হ্যাটের মধ্যে যারা থাকে তাদের বলে গ্রে হ্যাট হ্যাকার। এরা নির্দিষ্ট কোন প্রকৃতির না।এরা কখনো হোয়াইট হ্যাট আবার কখনো ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের মত আচরণ করে।
সুতরাং, যদি আপনি ভেবে থাকেন যে হ্যাকিং শুধুই অপরাধ তাহলে বেশ ভুল ধারণা নিয়ে আপনি বেঁচে আছেন।এই ধারণা বাদ দিন।আইন মেনে চলুন আর অপরাধমুক্ত থাকুন।