সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম হ্যাকাররা ফ্রান্সের বেশ কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। আর এরকম সময়ে ফ্রান্সের পক্ষে ভারত মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশের ৫টি ওয়েবসাইট হ্যাক করে। কিন্তু এটা করে ভারত নিজের পায়েতে নিজেই কুড়ুল মারে নি তো? তাদের কি মনে নেই ২০১২ সালের সাইবার যুদ্ধে কী হয়েছিল? তবে চলুন জেনে নেই এই ঘটনার বিস্তারিত।
গত কিছুদিন হলে ফ্রান্সের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ বাংলাদেশি হ্যাকারসহ অন্যান্য দেশের হ্যাকার রা আক্রমণ চালিয়ে দখলে নিচ্ছে। তারা দাবি জানিয়েছে ফ্রান্স সরকার সবার কাছে ক্ষমা চাক। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্রান্স সরকার ক্ষমা চাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই হ্যাকাররা ফ্রান্সের ওয়েবসাইট এ আক্রমণ করেই যাবে। তবে এই ঘটনাটা এখন একটু অন্য দিকে ঘুরে গেছে। সম্প্রতি ভারত ফ্রান্সের পক্ষে দাড়াতে শুরু করেছে। তারা ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের কিছু ওয়েবসাইট রিকোভার করে ফেলেছে আর হ্যাশট্যাগ ব্যহার করা শুরু করেছে। কিন্তু এইদিকে বাংলাদেশি হ্যাকাররাও থেমে নেই। বিশেষ করে ‘সাইবার ৭১’ নামক হ্যাকার কমিউনিটি রিকোভার করা ওয়েবসাইটগুলোতে আক্রমণ করা শুরু করেছে এতে আল্টিমেটলি ওয়েবসাইটগুলো রিকোভার হচ্ছে না বললেও ভুল হবে না। কিন্তু ভারত শুধু ওয়েবসাইট রিকোভারেই থেমে থাকেনি। তারা বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হ্যাক করা শুরু করে। তারা বাংলাদেশের ৫ টা ওয়েবসাইট হ্যাক করতে সক্ষম হয় যেগুলো ১ দিনের মাথাতেই রিকোভার করা হয়ে যায়। আর বাংলাদেশি হ্যাকাররা এপর্যন্ত ভারতের প্রায় ১২ টা ওয়েবসাইট হ্যাক করে ফেলেছে।
এগুলো দেখে প্রযুক্তিবিদদের শঙ্কা হচ্ছে যে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধ আবার শুরু হবে কিনা। ২০১২ সালে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধ হয়েছিল যেখানে ভারত একেবারে নাস্তানাবুদভাবে হেরে গিয়েছিল। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশি হ্যাকাররা ভারতের ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল। যার মধ্যে বিএসএফ সহ আরও অনেক সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইট। এর ফলে ভারতের সাইবার স্পেস বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুধু ভারত নয় এই যুদ্ধে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসও কিছু পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই যুদ্ধের প্রায় ৮ বছর কেটে গেছে। তাই এখন ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর এ কারণেই প্রযুক্তিবিদদের ভয় হচ্ছে যে আবার কোন সাইবার যুদ্ধ হয় কিনা।
তবে সাইবার অপরাধ থেকে সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করুন। বিশ্বে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর অপরাধীদের বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষ। তাই আপনি শিক্ষিত বলে যে আপনার দ্বারা কোন সাইবার অপরাধ করা সম্ভব না তা একটা ভুল ধারণা।