রিয়েলমি গ্লোবাল ক্যাম্পেইনের ‘নাম্বার ওয়ান লিপার’ ইভেন্টে ‘নাম্বার ওয়ান অ্যাচিভারের’ পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এস. এম. ইফতেখার। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার মাধ্যমে নিজের স্বপ্নের স্মার্টফোন কেনার জন্যে যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার বর্ণনা দিয়ে তিনি এ ক্যাগরিতে জয়ী হয়েছেন। এর ফলে তিনি পেয়েছেন রিয়েলমি ৭ প্রো, রিয়েলমি’র ‘৫০ মিলিয়ন ইউজার সেলিব্রেশন’ টি-শার্ট এবং বিজয়ীর ব্যাজ।
২ নভেম্বর, ২০২০ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পেইনটি ১৫ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে শেষ হয়, যেখানে ফ্যানরা তাদের রিয়েলমি ফোনের মাধ্যমে কীভাবে স্বপ্নজয় করেছেন তার বর্ণনা দেন। এই ক্যাম্পাইনে রিয়েলমি-এর ৬১টি মার্কেটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫,০০০ এরও বেশী তরুণ অংশগ্রহণ করেন এবং তার মধ্যে থেকে ইফতেখার ৯টি ক্যাটাগরির একটিতে জয়ী হন। স্মার্টফোন কেনার পেছনে তার অনুপ্রেরণামূলক গল্প রিয়েলমি টিমকেও অনুপ্রাণিত করেছে।
শৈশব থেকেই স্বনির্ভর এস. এম. ইফতেখার কঠোর পরিশ্রমের মূল্য সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগ্রহণ শুরুর পর তিনি একটি লেটেস্ট স্মার্টফোন কিনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, যা তার পড়াশোনা এবং কাজ ছাড়াও সার্বক্ষণিক বিনোদনের সঙ্গী হবে। পড়াশোনা ও কাজের মাঝে ভারসাম্য বজায় রেখে ইফতেখার তার পছন্দের ফোন কেনার জন্যে অর্থ সঞ্চয় করতে থাকেন। অবশেষে রিয়েলমি যখন রিয়েলমি ৫আই বাজারে নিয়ে আসে, এর অনন্য ক্যামেরা, ফাস্ট প্রসেসর, বিশাল ব্যাটারি ব্যাকাপ ও সর্বাধুনিক সব ফিচারের কারণে এ ফোনটি কেনেন ইফতেখার, যার পারফরম্যান্স তার প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যায়।
অনন্য অধ্যবসায় ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইফতেখার এ ক্যাম্পেইনে ‘নাম্বার ওয়ান অ্যাচিভারের’ পুরস্কার লাভ করেন। ক্যাম্পেইনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরো ৮টি বিভাগে আরো ৮ জন বিজয়ী হন। রিয়েলমি কমিউনিটিতে ৬০০টিরও বেশি পোস্ট লিখে এই কমিউনিটিকে আরো সমুন্নত করায় চীনের জিদান চু জেতেন ‘নাম্বার ওয়ান অল-রাউন্ড কন্ট্রিবিউটর’-এর খেতাব। ভিয়েতনামের উঁ ডোয়ান কোয়ক থাং জেতেন ‘নাম্বার ওয়ান ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসাডর’ খেতাব। স্পেনের অ্যান্ড্রয়েড প্রোগ্রামার হোয়ান ফুয়েন্তেস জিতেছেন ‘নাম্বার ওয়ান গিক এক্সপ্লোরার।’ ইন্দোনেশিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার ফাজার নুগরাহা ওয়াহয়ু হন ‘নাম্বার ওয়ান ফ্যানস ক্লাব ফাউন্ডার।’ হাজার হাজার ফলোয়ার অর্জনের জন্য চীনের কেলে ওয়াং হন ‘নাম্বার ওয়ান ইন্টারঅ্যাক্টিভ ডেভেলপার।’ নিজের লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে তরুণদের অনুপ্রাণিত করে ও ৫৫,০০০ লাইক পেয়ে ‘নাম্বার ওয়ান ফ্যান স্পিকার’-এর খেতাব পেয়েছেন ভারতের মৈত্রী পান্ত। অনন্য উপায়ে সেলফি তুলে ফিলিপাইনের হোয়েনজি পাটলিংরাও জেতেন ‘নাম্বার ওয়ান ক্রিয়েটিভ সেলফি শ্যুটার’-এর খেতাব। স্মার্টফোন ব্যবহারে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার জন্যে শুধুমাত্র রিয়েলমির ফ্ল্যাগশিপ ফোন ব্যবহার করায় ‘নাম্বার ওয়ান ফ্ল্যাগশিপ প্লেয়ার’-এর খেতাব পেয়েছেন মালয়েশিয়ার ইজ্জি বিন জাহারউদ্দিন।
জনপ্রিয় টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি সবসময়ই তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন প্রযুক্তিগত চাহিদার ওপর নজর দিয়ে আসছে। ব্র্যান্ডের ‘ডেয়ার টু লিপ’ স্পিরিটের কারণে রিয়েলমি ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ৬১টি বাজারে পৌঁছে গেছে। এ ধরনের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি ক্রমাগত তাদের ফ্যানদের চাহিদা বুঝে ভবিষ্যতে তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শনের দিগন্তকে প্রসারিত করতে আরো উন্নতমানের ডিভাইস আনার দিকে আলোকপাত করছে।