৫জি নেটওয়ার্ক কবে থেকে ব্যবহার করা যাবে সেই নিয়ে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা কৌতুহলী! ৫জি, মোবাইল নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রজন্ম, যার মাধ্যমে 4G নেটওয়ার্কের থেকে ১০০ গুণ বেশি ইন্টারনেট স্পিড, উন্নত কল কোয়ালিটি ইত্যাদি উপভোগ করা যাবে। কিন্তু ৫জি সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা হল এটি ক্ষতিকারক বিকিরণ বা রেডিয়েশন তৈরি করে যা পাখিদের হত্যা করে এবং মানুষের শরীরে ক্যান্সারের বীজ বপন করে। কারণ ৫জি নেটওয়ার্ক এর পূর্ববর্তী সেলুলার নেটওয়ার্কগুলির চেয়ে বেশ অনেকটাই আলাদা। 5G নেটওয়ার্ক সিগন্যালগুলি বহন করতে রেডিও তরঙ্গের ওপর নির্ভর করে এবং কানেকশনের জন্য এটির একাধিক অ্যান্টেনা এবং ট্রান্সমিটারের প্রয়োজন হয়। তবে সেলুলার নেটওয়ার্কের এই নতুন প্রজন্মটি সত্যিই ক্ষতিকারক কী না বা সাধারণ জনজীবনে এর কতটা প্রভাব পড়বে সেই নিয়েই আমরা এখন আলোচনা করব।
পদার্থবিজ্ঞানী এবং ক্যান্সার গবেষক ডেভিড রবার্ট গ্রিমস জানিয়েছেন, ৫জি তরঙ্গগুলি নন-আয়নাইজিং। যারা জানেননা তাদের সংক্ষেপে বলে রাখি, বিকিরণ বা রেডিয়েশনের দুটি ধরণ রয়েছে – আয়নাইজিং ও নন-আয়নাইজিং। আয়নাইজিং তরঙ্গগুলির তরঙ্গদৈর্ঘ্য স্বল্প হলেও এগুলির ফ্রিকোয়েন্সি বেশ উচ্চতর, যা মানবদেহের পক্ষে বিপজ্জনক।অন্যদিকে, নন-আয়নাইজিং তরঙ্গগুলি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দীর্ঘতর কিন্তু এগুলিতে কম ফ্রিকোয়েন্সি থাকে, যা মানুষের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে 5G নেটওয়ার্ক যেহেতু নন-আয়নাইজিং, তাই এটি কতটা ক্ষতিকারক হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়!
গ্রিমসের মতে, সূর্য থেকে আগত যে দৃশ্যমান আলোর সংস্পর্শ, রেডিও-তরঙ্গগুলির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাছাড়া, মোবাইল বা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলির বিকিরণ থেকে স্বাস্থ্যের সমস্যা হয় বা কোনো প্রাণীর ক্ষতি হয় এমন যথাযথ প্রমাণ এখনও অবধি পাওয়া যায়নি।
এদিকে অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় বলা হচ্ছে, কোনো অঞ্চলে বেশি সংখ্যক অ্যান্টেনা বা ট্রান্সমিটার ইনস্টল করা হলেও তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ট্রান্সমিটারের সংখ্যা বেশি হলে সেগুলি কম পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করবে। এতে 5G টাওয়ার থেকে বিকিরণের প্রকাশ অনেকটাই কম হবে। সুতরাং, আগামী দিনে 5G নেটওয়ার্ক চালু হলেও সাধারণ মানুষের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না!