কৃষক বাবা ও গৃহিনী মায়ের ১০ সন্তানের ছোট সন্তান রুপেনা আক্তার রুপা। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দার অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে তার জন্ম ও বেড়ে উঠা। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বাবাকে হারিয়ে মা ও ভাইয়ের স্নেহে বড় হন রুপা।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে শেষ করে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স শুরু করে ইডেন মহিলা কলেজে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকে শুরু হয় নিজের সাথে অর্থনৈতিক সংগ্রাম। আবুল খায়ের কোম্পানিতে খন্ডকালীন চাকরি ও টিউশনি করে অনার্স পর্ব শেষ হয়। এরপর চাকরি নেয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে, করোনার থাবায় চাকরি হারিয়ে হতাশ হয় রুপা।
মে মাসে ফেসবুক নিউজ ফিডে সন্ধান মেলে উই (উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম) এর। উইতে নিয়মিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্প পড়ে হতাশা দূর করে স্বপ্ন বুনে রুপা। আগষ্টে একটিভ হয় উইতে। বাটিক, মনিপুরী শাড়ি দিয়ে শুরু করেন ’পাহাড়ি’ নামে উদ্যোগ। প্রথম নয় দিনে বিক্রি করেন তিন হাজার তিনশ টাকা।
গত সেপ্টম্বরে নিজের স্কিলস ডেভেলপ করতে জয়েন হয় ডিএসবি (ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ) ফেসবুক গ্রুপে। সেখানে চর্চা শুরু করে ১০ মিনিট রাইটিং ও প্রেজেন্টেশন পোস্ট। বাড়তে থাকে পড়া, বুঝা, চিন্তা, লেখার গতি ও আত্মবিশ্বাস।
তিনি বলেন, ”ডিএসবির ভালো লাগা আমার বালিশ ভেজা কান্নাকে হার মানিয়ে রাত জেগে আইটি স্কলস ডেভেলপ করার উদ্যোমী করেছে। উদ্যোগের ফাউন্ডেশন ডেভলপ করতে এখানে পাচ্ছি সকল শিক্ষা। এখন আমি স্বপ্ন দেখি সুন্দর ভবিষ্যৎ এর এবং সম্ভাবনা দেখছি আমার উদ্যোগের।”
আমি রাজিব আহমেদ স্যার ও নাসিমা আক্তার নিশা আপুকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদন করি। আমার মত হাজারো মেয়ের ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন পূরণের পথ দেখানোর জন্য।