তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোর হাতে নির্বিচারে জিপিএস নির্ভর ‘লোকেশন ট্র্যাকিং পরিষেবা’ সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল গুগল এবং অ্যাপল। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে তারা।
অ্যাপলের তরফে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে নয়া সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য দু’মাস সময় দেওয়া হয়েছে। গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আবেদন জানানোর জন্য এক মাস সময় পাবে। প্রয়োজনে সেই সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানো হবে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ’ তৈরি করতে সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। তাদের দাবি, আশপাশে সংক্রমিত কেউ থাকলে গ্রাহক সেই তথ্য ও সতর্কবার্তা ফোনে পেয়ে যাবেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যের জন্য গুগল এবং অ্যাপলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও খবর এসেছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগেই গুগল এবং অ্যাপল জানিয়ে দিয়েছিল, নজরদারির সম্ভাবনা কমাতে প্রতি দেশে একটিমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ‘লোকেশন ট্র্যাকিং’ পরিষেবা দেওয়া হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবরে দাবি, ইতিমধ্যেই এক্স-মোড সোশ্যাল পরিচালিত মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলোর উপর ‘লোকেশন ট্র্যাকিং সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গুগল এবং অ্যাপল। প্রকাশিত খবরে দাবি, এই মুহূর্তে বিশ্বের ৪০০টিরও বেশি অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থা ৬ কোটিরও বেশি গ্রাহকের থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। তারা নতুন করে পরিষেবা পাওয়ার জন্য এক মাসের মধ্যে আবেদন না জানালে তাদের অ্যাপগুলো ‘অ্যাপ স্টোর’ এবং ‘প্লো স্টোর’ থেকে সরানো হতে পারে। খবর আনন্দবাজারের।