চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং জেডটিই এর পর এইবার বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমিকে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)।
মার্কিন সরকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি কর্প কর্পোরেশন এবং চীনের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় তেল সংস্থাকে সামরিক সংযোগের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
গত বছরই চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-কে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। এইবার ট্রাম্প প্রশাসন নজর দিয়েছে বড় চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির দিকে । বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রশাসন চীনা সামরিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত তার ব্ল্যাক লিস্টে নয়টি সংস্থা যুক্ত করেছে, যার মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা’র ব্যাপারে শাওমি বাংলাদেশের মুখপাত্র জানানঃ“শাওমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিদ্যমান সকল আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে। শাওমি পুনর্ব্যক্ত করতে চায় যে তাদের পণ্য এবং পরিষেবা সর্ব সাধারণের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্যই। শাওমি নিশ্চয়তার সাথে জানাতে চায় যে শাওমি চীনা সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত নয় কিংবা তাদের সাথে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়; না তারা মার্কিন সরকারের এনডিএএ আওতাধীন ‘কমিউনিস্ট চীনের সামরিক প্রতিষ্ঠান’। এমতাবস্থায় শাওমি তার ও তার শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। শাওমি বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব ও পরিণতিগুলি পর্যালোচনা করছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে শাওমির পক্ষ থেকে আগামীতে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
গিয়ারার-এর তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে শাওমি বা অন্যান্য সংস্থাগুলি চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে জড়িত সে সম্পর্কে কোনও প্রমাণ দেয়নি। শাওমি মূলত একটি স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক্স সংস্থা, তা জেনেও বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল এই কালো তালিকাভুক্ত করণ।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আর এই ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। তাদেরকে শাওমির মত কোম্পানির শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ কিনতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি পুরানো সমস্ত চুক্তি ১১ নভেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে তুলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, আপনাকে জানিয়ে রাখি এই ব্ল্যাক লিস্ট হুয়াওয়ের ব্যান থেকে আলাদা। কারণ শাওমিরা এখনও লাইসেন্স ছাড়াই মার্কিন কোম্পানিগুলির প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। প্রসঙ্গত বাইডেন ২০ জানুয়ারি থেকে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হবেন। সেক্ষত্রে তিনি এই ব্ল্যাকলিস্ট কে মান্যতা দেন কিনা সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে।