নিজেদের গোপনীয়তার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েই আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তবে মেসেঞ্জারকে এর চেয়ে বেশি ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অথচ মেসেঞ্জার নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না!
হোয়াটসঅ্যাপের চেয়েও ফেসবুকের মেসেঞ্জার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ–এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফোবর্স। এতে এমন সব তথ্য উঠে এসেছে, যা জানলে কোনো সচেতন ব্যক্তি কখনও অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইবেন না।
ব্যবহারকারীরা ‘ফ্রি’ সেবা পেলেও গোপনে তাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়েই বাণিজ্যিক ফায়দা তুলে নিচ্ছে ফেসবুক। এসব তথ্যকে পুঁজি করে নিজেদের ব্যবসাকে বড় করেছে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে আমরা যা কিছুই করছি, সবই তারা নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। এর আগেও বড় বড় টেক জায়েন্ট কর্তারা ফেসবুকের গোপনীয়তার নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নিজেদের অবস্থান খুব একটা নড়চড় করেনি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি।
নীতিমালা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ আলোচনায় আসার পর লাখ লাখ গ্রাহক বিকল্প অ্যাপ সিগনাল, বিআইপি ও টেলিগ্রামে চলে যাচ্ছে। এর জের ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফেসবুকের নানা অনিয়ম ও অসততা নিয়ে জোরালোভাবে তথ্য-প্রতিবেদন প্রকাশ পাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ চলমান বিপর্যয় সামলাতে না পারলে এর নেতিবাচক প্রভাব নিশ্চিতভাবেই ফেসবুকের মেসেঞ্জারের ওপরও পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।