সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’।
রোববার রাজধানীর বিটিআরসি মিলনায়তনে এই সেবার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও ২০ এমবিপিএস-এর দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শহর ছাড়িয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে তথা গ্রামেও পৌঁছে গেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক বর্তমানে দেশে প্রায় এক কোটি। এই সংখ্যক গ্রাহক দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর ১৭ শতাংশ। কিন্তু এই গ্রাহকরা দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এক রেট চালু একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আগে আমরা বলতাম ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিয়ে যাব। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট রয়েছে। আমরা এখন বাড়ি বাড়ি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাবো।
শহরের তুলনায় গ্রামে মাসিক বিল বেশি গুনতে হয়। কারণ হিসেবে ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানান, ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ নিতে অনেক বেশি ব্যয় হয়। এ কারণে দামও বেশি রাখা হয়। তবে বিটিআরসি’র এমন উদ্যোগে উপকৃত হবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
শহরের ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি সুখবর। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতেও রয়েছে দামের তারতম্য। একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজের দাম এলাকাভেদে বেশি-কম গুনতে হয়। ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, এই দাম নির্ধারণে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে।