তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রিক উন্নয়ন কেবল নির্দিষ্ট শহরমুখী নয়, সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বলেছেন, ‘এতদিন দেশের সব উন্নয়ন ছিল ঢাকা-চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল, আইটি ইন্ডাস্ট্রি ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেই লক্ষ্য থেকে ২০টি ডিজিটাল হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সারা দেশে।’
গত ১৫ জুলাই তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় বলেন, ‘আমরা দেশে হাই-টেক পার্ক করেছি। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও ইন্টারনেট অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা নানা ধরনের সেবা প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি করেছি।’
দেশের তরুণ সমাজকে নতুন উদ্ভাবনের প্রতি আরও জোর দেওয়ার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। অনুকরণ নয়, নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে নিজেদের আত্মপরিচয় তুলে ধরবে বলেও মন্তব্য করেন জয়।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয় বলেন, ‘আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। তরুণদের প্রশিক্ষিত করে আমরা যদি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা খুব দ্রুতই তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আইসিটি খাতে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খুব দ্রুতই দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।’
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য করতে কাজ চলছে জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে আমরা স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার সারা দেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সংযোগ বিস্তৃত করা হয়। এখন স্থানীয় সরকারের ক্ষুদ্রতম ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়েও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’
উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে জয় বলেন, ‘আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, কাউকে নকল বা অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।’