এইচএসসি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র ২ মাস। শিক্ষার্থীরা রয়েছে প্রচুর উৎকণ্ঠায়, দেড় বছরের একটা শিথীলতা যেন গ্রাস করেছে সবাইকে। শর্ট সিলেবাসে পড়ার চাপ কমলেও চিন্তা যেন কমছে না তাদের। কীভাবে পড়বে, কীভাবে ভালো একটা প্রস্তুতি নিবে, যাতে ভালো ফলাফল করা যায়।
এইচ এস সি পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যেটির ফলাফলের উপর নির্ভর করে ভার্সিটি ভর্তিযুদ্ধের সফলতা। করোনা মহামারীতে মানসিকভাবে অনেক শিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে পড়েছেন, তাদের পঠিত বিষয়গুলো যখন তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেগুলো সমাধান করার সুযোগ সেভাবে পায়নি। শেষ মুহুর্তে তারা যেন চিন্তায় পড়ে গেছে, এই শর্ট সিলেবাসে প্রশ্ন কী ধরনের হতে পারে এবং সময় কাজে লাগিয়ে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভাবনা কতখানি। এই নিয়ে দুশ্চিন্তা যেকোনো শিক্ষার্থীর এই মুহুর্তে স্বাভাবিক। শিক্ষার্থী বন্ধুরা, ভয় না পেয়ে এই দুই মাসের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে তোমরাও পেতে পারো কাঙ্খিত ফলাফল।
বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় জীববিজ্ঞানের কথা। জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের অধ্যায়গুলো উদ্ভিদ নিয়ে, তাই অধ্যায়গুলো চিত্রসহ ব্যাখ্যা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। সেক্ষেত্রে চিত্রগুলো এঁকে অনুশীলন করে পড়লেই অধ্যায়গুলো সহজ হয়ে যাবে সৃজনশীল প্রশ্ন এবং এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর করার জন্য। দ্বিতীয় পত্র প্রায় পুরোটা জুড়েই মানবদেহ। এর জন্য দ্বিতীয় পত্র পড়তে বিশেষ সুবিধা হয়ে যায়, বাস্তবকে মিলিয়ে পড়া যায়।
পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে রয়েছে, বিভিন্ন সূত্র এবং ম্যাথ দুই পত্রেই। বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে ম্যাথ যেমন সৃজনশীলে কাজে আসবে তেমনি এমসিকিউ খুব সহজেই সমাধান করা যাবে। আর রিডিং পড়ার আসলে কোনো বিকল্প নেই। রিডিং পড়ার কারণে জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর করাও হয়ে যাবে অনেক সহজ।
উচ্চতর গণিত বিষয়ে অধ্যায়গুলো সম্পূর্ণ ম্যাথ । এখানে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্র, সূত্র প্রমাণ, বিশেষ সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন প্রমাণগুলো একাধিকবার অনুশীলনে ঝালিয়ে নিলে প্রস্তুতি অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। আর এমসিকিউ এর জন্য ছোট ছোট ম্যাথগুলো ঘড়ি ধরে অনুশীলন এনে দেবে পরীক্ষার জন্য ১০০ ভাগ প্রস্তুতি।
রসায়নের নিরস অধ্যায়গুলোর জটিল বিক্রিয়াগুলো লিখে লিখে অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হবে পুরোটাই। বিক্রিয়াগুলো দিয়ে যে ম্যাথ রয়েছে, তা আয়ত্ত করার জন্য অধ্যায়ের শেষের ম্যাথগুলোর উপরেই অনুশীলনের জন্য নির্ভর করা যায়।
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, হয়তো এরকম একটি লিখা দেখে মনে হতে পারে, প্রস্তুতি এভাবে না বলে আরো একটু সহজ এবং ডিটেইলস কিছু কি পাওয়া সম্ভব?
অনলাইন প্লাটফর্মের শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো যেন এক জীবন্ত ক্লাসরুম। আর ভিডিও লেকচার থাকার কারণে পড়ার সময় না বুঝতে পারলে মুহুর্তেই ভিডিওগুলো দেখার মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে যায় সব কনসেপ্ট। এছাড়াও রয়েছে প্রতিটি লেকচারের সাথে পরীক্ষার ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির জন্য টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে ‘HSC 21 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি’ নামক ভিন্নমাত্রার একটি কোর্স!