চলতি মাসে দেশের বিভাগীয় শহুরগুলোতে চতুর্থ প্রজনম্মের ইন্টারনেট সেবা ফোরজি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের। বিভাগীয় শহরগুলোতে সম্পূর্ণরূপে ফোরজি সেবা পৌছে দিতে আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন টেলিটক।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুই দফা ফোরজি সেবা চালু করার উদ্যোগ নিলেও তাতে সফল হয়নি টেলিটক। শেষ পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই সঙ্গে চর্তুর্থ প্রজšে§র ইন্টারনেট সেবা ফোরজি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও শুরুতেই ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি।
জানতে চাইলে টেলিটকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দেশব্যাপী টেলিটক গ্রাহকদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ফোরজি প্রদানে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফোরজি সেবা চালু করা হয়েছে, যদিও কিছু কিছু সেন্টারে এখনও বাকি রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের যে পয়েন্টগুলো ফোরজি সেবা প্রদানে বাকি রয়েছে সেগুলোতে দ্রুতই আমরা সেবা দিতে পারবো। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরেই আমরা রংপুরে ফোরজি সেবা চালু করতে যাচ্ছি। আশা করছি এই চলতি মাসেই রংপুরে ফোরজি চালু করতে পারবো।’
দেশের বিভাগুলোর শহরগুলোর পাশাপাশি উপজেলা শহরগুলো কবে নাগাদ ফোরজি সেবা চালু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সেবাটি পৌছে দিতে কিছুটা সময় লাগবে। বলা যায় আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা বিভাগীয় শহরগুলোতে ফোরজি সেবা প্রদান করতে পারবো। এটি শেষ হলে পর্যাক্রমে দেশের সমস্ত জেলা ও উপজেলাগুলোকে ফোরজি সেবা আওতায় আনতে পারবো।’
টেলিটকের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রায় ৪৮০টি পয়েন্টে চালু করা হয়েছে ফোরজি সেবা। এর মধ্যে ঢাকাতে প্রায় ৩৫০ ও চট্টগ্রামে প্রায় ১৩০টি পয়েন্টে ফোরজি সেবা চালু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে লাইসেন্স পেয়ে ফোরজি প্রযুক্তি চালু করে দেশের বেসরকারি তিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। তবে এর আগে থ্রিজির সময় সব অপারেটরকে একই দিনে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। যদিও টেলিটক বাদে অন্য অপারেটরগুলো এক বছর পর থ্রিজি সেবা চালু করার অনুমতি পায়, তবে টেলিটক তখনও কোনো সুবিধা করতে পারেনি।
টেলিটক সূত্রে জানা গেছে, অপারেটরটি ফোরজি সেবা চালু করার জন্য ৯৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। এর মধ্যে ৫৫০টি টাওয়ার এরই মধ্যে দেশের প্রধান জেলা শহরগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫৫০টি টাওয়ার চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বিটিআরসির সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য (জানুয়ারী, ২০১৯) অনুযায়ী দেশে মোট সক্রিয় মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪৪ হাজার। এর মধ্যে টেলিটকের বর্তমান সক্রিয় গ্রাহক ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার, যা মার্কেট শেয়ারের প্রায় দুই শতাংশ মাত্র।