ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে ও গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে সরকারের কাছে ৩০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন সুবিধা চেয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) আলেশা মার্ট ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ হিসেবে ঋণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি জমা দেয়।
আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, “আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রমবর্ধমান কোম্পানি; মাত্র ছয় মাসে আমাদের ১৪ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন হয়েছে।”
আবেদনে আরও বলা হয়, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল ২০৩০ সালে বাজারের শীর্ষস্থানীয় হয়ে ওঠার।”
আলেশা মার্টের আবেদনপত্র অনুসারে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর সংখ্যা ৫০ হাজার এবং এর অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বা ১৩ লাখ। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ৮ লাখ অর্ডার পেয়ে থাকে বলেও উল্লেখ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি ঋণের বিপরীতে ৩০০০ ডেসিমেল জমি বন্ধকসহ প্রয়োজনীয় জামানত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা অপ্রত্যাশিত সমস্যাটি দক্ষতার সঙ্গে সমাধানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।”
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল আলম সিকদারের সমর্থন প্রাপ্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আলেশা মার্ট, অবশেষে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) “পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত” অফিস বন্ধ করে দেয়। মঞ্জুরুল আলম সিকদার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক সমর্থন দিয়ে আসছিলেন বলে একসময় দাবি করেছিল আলেশা মার্ট।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির দাবি, কিছু ‘বহিরাগত’ তাদের অফিসে টাকা ফেরত নিতে এসে কোম্পানির কর্মীদের লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার জের ধরে তাদেরকে নিরাপত্তার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটির দাবি অনুযায়ী, আলেশা গ্রুপের কিছু ‘লাভজনক’ প্রতিষ্ঠানসহ এক ডজনেরও বেশি নিবন্ধিত সংস্থা রয়েছে, যা তাদের ই-কমার্স ব্যবসায়ে বহু বিলিয়ন টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।