পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের আটকে থাকা ৩৯০ কোটি টাকা থেকে ৫৯ কোটি টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ১৬ তারিখ রোববারে মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকমের গ্রাহকদের আটকে পড়া টাকা ফেরত দেওয়া বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে এবং কিউকম ক্রেতাদের কার কত পাওনা রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করবে। সে অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠান একটি আংশিক তালিকা তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তালিকায় ছয় হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের তথ্য রয়েছে। এসব গ্রাহক কিউকমে পণ্য অর্ডার করে আগাম ৫৯ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু পণ্য পাননি। টাকা ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আটকে আছে।
জানা গোছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুনে ‘এসক্রো সিস্টেম’ চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে ক্রেতার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে জমা থাকে। কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল ফস্টার পেমেন্টস। এই পদ্ধতিতে কিউকম ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে চালানসহ ডকুমেন্ট ফস্টারে জমা দেওয়ার কথা। এদিকে পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ক্রেতা কিউকমকে টাকা দেবেন। ক্রেতা পণ্য বুঝে না পেলে ফস্টার কর্তৃপক্ষ কিউকমের টাকা আটকে দেবে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম জানায়, ফস্টার পেমেন্টস তাদের গ্রাহকদের ৪২০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ফোস্টার পেমেন্টস মূলত এসএসডি টেক নামক একটি কোম্পানির পেমেন্ট সার্ভিস উইং। বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুরেও তারা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ৩ অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগে কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।