নকিয়ার সব স্মার্টফোন চীনা সার্ভারে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য পাঠাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান এ বিতর্কের মুখে অবশেষে ব্যাখ্যা দিল ফিনিশ কোম্পানি এইচএমডি গ্লোবাল। ফোনের ত্রুটি থাকার কথা স্বীকার করলেও এতে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়নি বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি। সেই সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতেই একটি নিরাপত্তা হালনাগাদের মাধ্যমে এ ত্রুটি সারানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নকিয়া ফোন নির্মাতা এ প্রতিষ্ঠান। খবর গেজেট ৩৬০ ডিগ্রি।
সম্প্রতি নকিয়া স্মার্টফোনগুলোর চীনা সার্ভারে তথ্য পাঠানোর অভিযোগের ভিত্তিতে ফিনল্যান্ড কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসে। দেশটির তথ্যনিরাপত্তা ন্যায়পাল জানিয়েছেন, নকিয়া ফোন তথ্যনিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করছে কিনা, তা তারা খতিয়ে দেখতে চান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এইচএমইডি গ্লোবাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সফটওয়্যার ত্রুটির কারণেই অনেকের এমন মনে হয়েছে। আর এটি ঘটেছে একটি মাত্র মডেলেই। নকিয়া সেভেন প্লাস ফোনের একটি সফটওয়্যার ত্রুটি এ ধারণা দিয়েছে। তবে কারো ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি, এটা নিশ্চিত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে চীনা সংস্করণের ডিভাইসগুলোর জন্য তৈরি অ্যাক্টিভেশন ক্লায়েন্টটি ভুল করে নকিয়া সেভেন প্লাসের সফটওয়্যারেও দেয়া হয়েছিল। এ ভুলের কারণে এই ফোনগুলো থার্ড পার্টি সার্ভারে অ্যাক্টিভেশন ডাটা পাঠানোর চেষ্টা করছিল। তবে এ ধরনের ডাটা কখনই প্রসেস করা হয়নি। ফলে এ ডাটার মাধ্যমে কাউকে শনাক্ত করা অসম্ভব। অর্থাৎ এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের কোনো ভয় নেই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিষয়টি গত ফেব্রুয়ারিতেই সমাধা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এমন ভুল সফটওয়্যারযুক্ত ডিভাইসগুলোয় নিরাপত্তা হালনাগাদ পাঠিয়ে ত্রুটি সারানো হয়েছে।
একই সঙ্গে নকিয়ার অন্যান্য ফোন থেকেও এভাবে থার্ড পার্টির সার্ভারে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে এইচএমডি গ্লোবাল। তারা নিশ্চিত করে বলেছে, চীনা সংস্করণসহ সব নকিয়া ফোনের ডিভাইস ডাটা সিঙ্গাপুরে অ্যামাজনের কাছ থেকে নেয়া এইচএমডি গ্লোবালের নির্দিষ্ট সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। এতে তথ্যনিরাপত্তা আইনের কোনোভাবেই লঙ্ঘন হচ্ছে না।