আসছে বাজেটে বাড়তে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ। মোবাইলে ভয়েস কল ও এসএমএস থেকে রাজস্ব কমায়, ইন্টারনেটে বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। সেক্ষেত্রে ভোক্তার ঘাড়ে পড়বে বাড়তি ভ্যাটও। কর বাড়লে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আসছে বাজেটে ২০০ টাকা সিমট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। একই সঙ্গে করপোরেট করহার ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি তাদের।
বর্তমানে কথা বলা কিংবা তথ্য আদান-প্রদানে হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এতে মুঠোফোনে টকটাইম কিংবা এসএমএস থেকে কমছে রাজস্ব আয়। এ অবস্থায় অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলা কিংবা তথ্য আদান-প্রদান থেকে রাজস্ব আদায়ে নজর দিচ্ছে এনবিআর।
বর্তমানে দেশে ৩ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। আইএসপি সূত্র বলছে, আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সেবাদাতাদের কেনা ইন্টারনেটের ওপর বাড়তি কর আরোপ করা হতে পারে। বর্তমানে আইএসপিগুলো ইন্টারনেট কেনা থেকে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে তিনটি স্তরে ৫ শতাংশ করে মোট ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়। তবে আগামী বাজেটে গ্রাহক পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
বর্তমানে মোবাইল সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক মিলিয়ে ১০০ টাকার কথা বলায় ৩৩ দশমিক ২৫ টাকা এবং ডেটা ব্যবহারে প্রায় ২২ টাকা কর দিতে হয় ১৭ কোটি গ্রাহককে। একটি সিম কিনতে ব্যয় হয় ২০০ টাকা। যা কমানোর দাবি মুঠোফোন অপারেটরদের।
বাংলালিংকের প্রধান করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, সিম ট্যাক্স কমানো উচিত। আমাদের করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয় ৪৫ শতাংশ, যেটি অন্য কোনো শিল্পখাতে নেই।
বিটিআরসির হিসাবে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান। আর মুঠোফোন সেবা দিচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চার অপারেটর।