বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাত তথা বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে তখন পূর্বাভাসের চেয়ে আয় বেশি করেছে অ্যাপল। ম্যাক বিক্রি ১০ শতাংশ হ্রাস কিংবা পরিষেবা খাত থেকে আয় কমলেও ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার আয় করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক কোম্পানিটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যাপলের আয়-ব্যয়ের উপাত্তে দেখা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে পরিষেবা থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১২ শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য ওয়াল স্ট্রিটের ১ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার আয় পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কম।
অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল টিভি প্লাস, অ্যাপল মিউজিক, ক্লাউড পরিষেবাসহ বেশ কয়েকটি সেবা এ সেগমেন্টের আওতাভুক্ত। অ্যাপলের বিভিন্ন প্লাটফর্মে পেইড সাবস্ক্রিপশন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ কোটি, গত প্রান্তিকে যা ছিল ৮২ কোটি ৫০ লাখ। গত ১২ মাসে অ্যাপলের পেইড সাবস্ক্রিপশন ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে।
কোম্পানির আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদনে অ্যাপল সিএফও লুকা মায়েস্ট্রি বলেন, আমাদের পরিষেবা পোর্টফোলিওর চাঙ্গা পারফরম্যান্সে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বিভিন্ন ফ্রন্টে আমাদের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল কেয়ার, ক্লাউড সার্ভিস ও পেমেন্ট সার্ভিস থেকে অ্যাপলের আয় রেকর্ড সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে বলে জানান মায়েস্ট্রি। অ্যাপল টিভি প্লাস পরিষেবা খাতে অ্যাপলের জন্য আরেকটি ইতিবাচক খাত হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলে জানান টিম কুক। এখন পর্যন্ত স্ট্রিমিং পরিষেবাটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ১ হাজার ১১০টি মনোনয়ন পেয়েছে। অস্কার ও অ্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ ২৫০টি পুরস্কার জিতেছে।
২৫ জুন শেষ হওয়া প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭০ কোটি ডলার। গত বছরের একই প্রান্তিকের ৩ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের চেয়ে যা ৩ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক স্মার্টফোনের বাজার যেখানে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে সেখানে অ্যাপলের এ উপাত্ত বেশ আশাব্যঞ্জক।