মঙ্গলবার বিটিআরসি কে দেয়া এক চিঠিতে গ্রামীণফোন এই যু্ক্তিহীন অডিট প্রত্যাহার করার দাবি করে একটি যুক্তিপুর্ন সমাধানের জন্য আহব্বান জানায়।
বিটিআরসি ২ এপ্রিল ২০১৯ সালে একটি দাবিনামার মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি কে ৮,৪৯৪.০১ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কে ৪,০৮৫.৯৪ কোটি টাকা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসে পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়।
বিটিআরসি কর্তৃক নিয়োগকৃত জেভিসিএ অব তোহা খান জামান এ্যান্ড কো. নামের একটি অডিট ফার্ম গ্রামীণফোনের ১৯৯৭ সালের যাত্রা থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ইনফরমেশান এ্যান্ড সিস্টেম অডিট পরিচালনা করে এই টাকা দাবি করে। এই অডিটে বিটিআরসি কর্তৃক দাবিকৃত ৮,৪৯৪.০১ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৭৩% বা ৬,১৯৪.৩ কোটি টাকাই হলো সুদ যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
এর আগে বিটিআরসি আর একটি ইনফরমেশান এ্যান্ড সিস্টেম অডিটের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালের সময়কালে গ্রামীণফোনের কাছে থেকে ৩,০৩৪ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করে। মানণীয় সুপ্রিম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশন সেই অডিটের অডিটর নিয়োগ কে অবৈধ ঘোষনা করে রায় দেয়। বিটিআরসি ১৯৯৭-২০১১ সময়কালের পূর্ববর্তী অডিটের দাবি নিয়ে মাননীয় আদালতে একদিকে তাদের আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সালের অডিটে এখন ১২,৫৭৯.৯৫ কোটি টাকা দাবি করছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময় কালের জন্য বিটিআরসি দুটি দাবি করছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রন সংস্থার সাথে অনেকবার আলোচনা এবং অডিটরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার পরেও আমাদের যুক্তিগুলো অডিট প্রতিবেদনে প্রতিফলিত না হওয়া খুবই দু:খজনক।
অডিট চলাকালীন পুরো সময়ে আমরা বারংবার অডিট প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের মতামতকে দাবিনামায় সর্ম্পুনভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে অডিটের প্রতিবেদনের উপরে আনুষ্ঠানিক জবাব দিতে বলে। গ্রামীণফোন নির্ধারিত সময়ে সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও যুক্তি দাখিল করে। কিন্তু বিটিআরসি তাদের দাবিনামায় শুধুমাত্র ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারীতে পর্যন্ত দেয়া গ্রামীণফোনের ব্যাখ্যা আমলে নিয়েছে।
রাজস্ব বোর্ডের পাওনা বিষয়ে (যেটি মোট দাবিকৃত টাকার ৩২%) গ্রামীণফোনের বক্তব্য হলো -রাজস্ব বোর্ডের হয়ে টাকা দাবি করার কোন এখতিয়ার বিটিআরসির নেই।
এই পরিস্থিতিতে অডিটের দাবি সর্ম্পুন প্রত্যাহার করে গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে একটি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য আবারও আলোচনার দাবি জানাচ্ছে।