বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং মিলিটারি ইন্সিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এর সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী এই প্রতিষ্ঠানগুলো সংলগ্ন মিরপুর ডিওএইচএস এ হলে বসবাস করে, যাদের অধিকাংশই নিজেদের বাসা থেকে দূরে। প্রায় হাজার খানিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মায়ের হাতের তৈরি হালুয়া বিতরন করে শপওয়ে নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
শপওয়ে, মিরপুর ডি ও এইচ এস এ বসবাসরতদের জন্য একটি ডিজিটাল শপিং অ্যাপ যার মাধ্যমে নিত্তপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ৩০ মিনিটে বাসায় ডেলিভারী দেয়া হয়। এই মোবাইল অ্যাপটির মাধ্যমে জেনারেল স্টোর, রান্নাঘর এবং টং দোকানের দ্রব্য সামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। শপওয়ে রান্নাঘরের বিশিষ্ট হল, ডিওএইচএস এ বসবাসরত যে কেউ এই রান্নাঘরে নিজেদের তৈরি খাবার বিক্রি করতে পারবেন। এমন ই একজন গৃহিণীর হাতের তৈরি হালুয়াগুলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করে শপওয়ে।
বিইউপি উইমেন হোস্টেল এ বসবাসরত ফাইনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী আসমা সাদিয়া বলেন, “আমি নিজে শপওয়ে তে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পন্য অর্ডার করে থাকি। রবিবার ক্লাস থাকায় আমি হলেই ছিলাম। শপওয়ের এই ছোট উপহারটি আমাদের হলের সবাই পছন্দ করেছে।”
শপওয়ে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি নিজে এই ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্র ছিলাম এবং দীর্ঘ ৪ বছর বাসা থেকে দূরে এই ডিওএইচএস এর মেসে থেকেছি। শব এ বরাতের দিনে ছাত্রদের এই আনন্দটুকু দিতে পেরে আমি গর্বিত।” বর্তমানে মিরপুর ডিওএইচএসে বিদ্যমান এই সেবাটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ২০১৬ সালে মার্কেটিং বিষয়ে অধ্যয়ন শেষ করে তিনি কিছুদিন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এ কাস্টোমার ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেন। এই মাস থেকে শপওয়ে স্টার্টআপ টি তিনি চালু করেন।