লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সজিব হোসেন (৩৫) নামে বিকাশের এসআর। এ ঘটনায় পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন বিকাশের ১৫ এজেন্ট। অভিযুক্ত সজিব হোসেন সদর উপজেলার দালালবাজার ইউপির মহাদেবপুর গ্রামের মহাম্মদ উল্লা মাস্টার বাড়ির মো. শাহজাহানের ছেলে।
শাহজাহান বলেন, আমার ছেলে সজিবের শ্যালক হুমায়ুনকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার রায়পুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।
বিকাশের রায়পুর ডিস্ট্রিবিউটর সঞ্জিব মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, আমরাও সজিবের খোঁজ করছি। আপাতত আপনারা রিপোর্ট লেখা থেকে বিরত থাকেন। সজিব অফিস থেকে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছে। জানতে পেরেছি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এসআর সজিব হোসেনের ব্যক্তিগত লেনদেন ছিল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হায়দরগঞ্জ ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট, চরবংশী বাজার, কাঠেরপুল, তালতলা ও বংশীব্রিজ এলাকার ব্যবসায়ী নুর নবী, জালাল হোসেন, মো. বাবুল, মো. মহসিন, সায়েদ হোসেন ও নাজমুল হোসেনসহ ১৫ জনের কাছ থেকে ২০-৬০ হাজার টাকা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান সজিব।
ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী বাবুল ও মো. আজাদ হোসেন বলেন, বিকাশের এসআর সজিব একই রুটে দীর্ঘদিন থাকায় আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল। আমরা এর বিচার চাই। এজেন্টদের বিশ্বাস বিকাশ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে তাদের টাকা ফেরত পেতে সহজ হবে।
এ ব্যাপারে রায়পুরে দায়িত্বে থাকা বিকাশের টেরিটরি ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসআর সজিব পলাতক। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন বলেন, গত ৫ বছর ধরে এসআর হিসেবে সজিব চাকরি করছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়া ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না, আইন সবার জন্য সমান।
রায়পুর বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার পলাশ দে বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে জানি না। জিএম সাজ্জাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরেক কর্মকর্তা পার্থ বলেন, আমরা কোনো তথ্য দিতে পারব না। সজিব গত তিন দিন ধরে অফিসে আসেন না। তার অভিভাবকও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করবেন।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, বিকাশ এজেন্টদের প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি অভিযোগ করেননি।