অনলাইন জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল অর্থনীতি পরিষেবার (এমএফএস) ২১ হাজার ৭২৫টি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই নগদের। এমএফএস অপারেটরদের ভবিষ্যতে এই ধরনের লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএফআইইউ চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন জুয়া ও বাজি লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেন থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়াও, ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং অবৈধ হুন্ডি, গেমিং ও বাজি সম্পর্কিত লিঙ্কগুলোর একটি তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি ২১টি মানি চেঞ্জারের বিবরণ এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিএফআইইউ।
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম, বিএফআইইউর পরিচালক, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের চিফ অব মানি লন্ডারিং এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, অপরাধী ও অর্থ পাচারকারীরা যেন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।