বাংলালিংক ও টেলিটকের চুক্তির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটিং পদ্ধতিতে রোমিং যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এ সেবা চালু করা হয়েছে। এখন বাংলালিংকের ২০ হাজার ৬০০ টাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে টেলিটক। এতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক কোথাও দুর্বল হলে সেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।
টেলিটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পোস্টপেইড ভয়েস এবং এসএমএস সেবা পরীক্ষা করা হবে। পরে প্রিপেইড সেবা ও ডাটা পরীক্ষা করা হবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সীমিত পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ রোমিংয়ের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাতীয় জীবনে ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণে আরও একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করলো বাংলাদেশ। এমন একটি দিনের জন্য সুদীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এ বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেলিটক ও বাংলালিংকের মধ্যে রোমিং চালুর বিষয়টি দেশের ডিজিটাল সংযুক্তির বিকাশে আরও একটি মাইলফলক। বাংলালিংক ও টেলিটকের মধ্যে এ কৌশলগত অংশীদারত্ব দেশব্যাপী টেলিটক ও বাংলালিংক গ্রাহকদের মোবাইল সংযোগের পরিসর বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি অপারেটর দুটির মধ্যে অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস এবং টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান।